ছয় জেলায় ধর্ষকসহ গ্রেপ্তার ১৫, আটক ৬

প্রকাশ | ২৩ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
ছয় জেলায় নানা অপরাধে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার ও ৬ জনকে আটক করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ে ২, সুনারগঞ্জের ধর্মপাশায় ২, হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে ১০, নওগাঁর সাপাহারে ৪, পোরশায় ২ এবং বগুড়ার আদমদীঘিতে ১ জন রয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর : ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দেবীপুর ইউনিয়নের মোলানী মাদ্রাসা পাড়া গ্রামে পারিবারিক গোরস্থানে মায়ের কবরের উপরে ছেলের লাশ উদ্ধার মামলায় ১০ দিনের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ এ তথ্য জানায়। সংবাদ সম্মেলনে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তাহের মোহাম্মদ আব্দুলস্নাহ জানান, গত বুধবার ভোরে অভিযান চালিয়ে মৃত নূর ইসলাম হত্যাকান্ডে জড়িত ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তাররা হলো- সদর উপজেলার দেবীপুর ওস্তাদপাড়া গ্রামের সেলিম রেজা (৩৬) ও আব্দুল মান্নান (৪০)। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, প্রায় এক মাস ধরে তারা নূর ইসলামের কাছে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১০ অক্টোবর নূর ইসলাম দোকান বন্ধ করে টাকাসহ বাড়ি ফেরার পথে ভিকটিমের বাড়ির পাশে কবরস্থানের রাস্তায় পৌঁছলে আসামিরা নূর ইসলামকে এলোপাতাড়ি মারধর করলে তিনি মারা যান। ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) : সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর থানায় এক গৃহবধূকে (২০) ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ধর্ষিতা বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে মামলাটি করেন। মামলার পরপরই উপজেলার মধ্যনগর থানার বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের গোলগাঁও বাজারে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলো- ইছামারী গ্রামের ওয়াহেদ আলী (২৮) ও আমিরুল ইসলাম (২৭)। মধ্যনগর থানার ওসি আব্দুলস্নাহ আল মামুন বলেন, অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করে বুধবার দুপুরে আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আজমিরীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) : হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ১০ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আবু হানিফ বলেন, গত বুধবার গভীর রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে জিআর ও সিআর বিভিন্ন মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা নারী শিশু নির্যাতন ও মারামারি মামলার পলাতক আসামি ছিল। সাপাহার (নওগাঁ) : নওগাঁর সাপাহারে অভিনব কায়দায় ভুটভুটি চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় হাতেনাতে ৪ যুবককে আটক করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে সাপাহার থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জবাই মহাডাঙ্গা গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে কাওসার আলীর ভুটভুটি গত ২০ অক্টোবর রাতে চুরি হয়। পরদিন বুধবার ভোরে নিয়ামতপুর উপজেলার বনগাঁ চান্দাইল গ্রামের জেম বাড়ির সামনে একটি ভুটভুটি রঙ করছিলেন। স্থানীয়রা বিষয়টি সন্দেহজনক মনে করে নিয়ামতপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ তাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে জেমসহ আরও ৪ জনকে আটক করে পুলিশ। আটকরা হলো- নাচোল উপজেলার মিলন হোসেন (২৬), নিয়ামতপুর উপজেলার বনগাঁ চান্দইল গ্রামের জেম (২৬), চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের কারিউল (২৪) ও কাজলা চপভরা গ্রামের আলমগীর হোসেন (৩০)। পোরশা (নওগাঁ) : নওগাঁর পোরশায় তীর-ধনুক ঠেকিয়ে জোর করে জমির ধান কেটে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় দুই দুষ্কৃতকারীকে আটক করেছে পুলিশ। আটকরা হলো- মুরলিয়া গ্রামের রবিন্দ্র (৪৫) ও স্বপন (২৮)। এ ব্যাপারে জালুয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে এম রইচ উদ্দীন থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। আদমদীঘি (বগুড়া) : বগুড়ার আদমদীঘিতে ১২০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিলসহ সোহেল রানা (২৯) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা। সোহেল রানা নওগাঁর ধামুরহাট উপজেলার মাতাজি ঘোষনগর গ্রামের মতি মন্ডলের ছেলে। গত বুধবার সন্ধ্যায় বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের আদমদীঘির শিবপুর শরীব সার কারখানার কাছে একটি বাস তলস্নাশি করে তাকে আটক ও ওই পরিমাণ ফেনসিডিল জব্দ করা হয়। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার সকালে আদমদীঘি থানায় একটি মামলা হয়েছে।