মেহেরপুরে বারী-৫ জাতের পেঁয়াজে আশা চাষিদের

প্রকাশ | ২৭ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

গোলাম মোস্তফা, মেহেরপুর
মেহেরপুরে গ্রীষ্মকালীন বারী-৫ জাতের পেঁয়াজ চাষে আশার আলো দেখেছেন চাষিরা। এই জাতের পেঁয়াজ আবাদ করে সফল হয়েছে তারা। ভালো ফলনের পাশাপাশি ভালো দামের আশাও করছেন তারা। নতুন জাতের এই পেঁয়াজ এবার চাষিদের মন কেড়েছে। আগামীতে এই জাতের পেঁয়াজ চাষের প্রত্যাশা তাদের। জানা গেছে, দেশের পেঁয়াজের ঘাটতি কমাতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবন করেছে উচ্চ ফলনশীল বারী পেঁয়াজ-৫। যা সারা বছর চাষিরা আবাদ করতে পারবেন। এরই ধারাবাহিকতায় বছরব্যাপী পেঁয়াজ উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় ইফাদের অর্থায়নে, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে, পিকেএসএফ ও কৃষিবিভাগের সহযোগিতায় মেহেরপুর জেলায় চাষ হয়েছে বারী-৫ জাতের পেঁয়াজ। পরীক্ষামূলক চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে জেলায় বেশ কিছু চাষি এই জাতের পেঁয়াজ চাষ করে সফল হয়েছেন। এই সময় এই জাতের পেঁয়াজের আবাদ দেখে আগামীতে পেঁয়াজ চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন অনেক চাষি। সদর উপজেলার কালীগাংনী গ্রামের পেঁয়াজ চাষি ফারুক জানান, এই সময় পেঁয়াজের ফলন হবে ধারণা ছিল না। এখন আবাদ করে দেখছি পেঁয়াজের যা গুঁটি এসেছে তাতে মনে হচ্ছে বিঘাপ্রতি ৮০-১০০ মন ফলন হবে। ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ নাসির উদ্দীন আহম্মেদ জানান, জেলায় বিভিন্ন চাষির মাধ্যমে ২৫ হেক্টর জমিতে বারী-৫ পেঁয়াজ আবাদ করা হয়েছে। ভালো ফলন হবে এবং চাষিরা লাভবান হবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম. মনজুর হোসেন জানান, যেহেতু দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি আছে সেজন্য বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবন করেছে উচ্চ ফলনশীল বারী-৫ পেঁয়াজ। এটি একটি পরীক্ষিত জাত যা সারা বছর আবাদ করা যাবে। এই জাতের পেঁয়াজ চাষ যদি সারাদেশে সম্প্রসারিত করা যায় তবে দেশের পেঁয়াজ ঘাটতি থাকবে না। দেশের পেঁয়াজ ঘাটতি কমাতে জেলায় এই জাতের পেঁয়াজ চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করছেন বলে জানালেন মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ স্বপন কুমার খাঁ।