পার্বতীপুরে মুক্তিযোদ্ধা সোবানের একটি ঘরের আকুতি

প্রকাশ | ২৭ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

এম এ আলম বাবলু, পার্বতীপুর (দিনাজপুর)
জীবনের অন্তিম মুহূর্তে উপার্জন করতে না পারায় অনাহারে-অর্ধাহারে দুই চোখে কেবলই অন্ধকার দেখছেন দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবান (৭২)। ১৯৭১ সালে ২৩ বছরের টগবগে এ তরুণ জীবনের মায়া ত্যাগ করে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। তখন তার চোখে-মুখে ছিল সোনালি ভবিষ্যতের স্বপ্ন। দেশ স্বাধীন হলে দু'বেলা জুটবে মুখের আহার, থাকবে নিরাপদ আবাসস্থল। তার বাড়ি পার্বতীপুর শহরের পুরাতন বাজারে। বাবা সুলতান আহম্মেদের পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে তিনি দ্বিতীয় সন্তান। ১৯৯৬ সাল থেকে অনেকটা বাধ্য হয়ে তিনি পার্বতীপুর শহরের বদ্ধভূমি এলাকায় রেলের জমিতে ছোট টিনের একটা ঝুপড়ি ঘর তুলে স্ত্রী জমিলা খাতুনকে (৫২) নিয়ে কোনোরকম জীবনযাপন করছেন নিঃসন্তান এ দম্পতি। জীবনের শেষ বেলায় তার ইচ্ছা এক খন্ড জমিতে নিজের একটি বাড়ি, যেখানে বাকি জীবন নির্বিঘ্নে কাটাতে পারেন। দারিদ্র্যতায় জর্জরিত এ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তার স্ত্রী বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ। বস্তির অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থেকে রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েছেন তারা। মুক্তিযোদ্ধা ভাতা হিসেবে পাওয়া অর্থ দু'জনের চিকিৎসা ও খাওয়ার খরচ জোগাতেই শেষ হয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধা সোবান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরকার অনেক গরিব মানুষকে জমি দিচ্ছেন, পাকা বাড়ি করে দিচ্ছেন। একজন সহায় সম্বলহীন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার আবেদন যেন শেষ ইচ্ছেটা পূরণ করা হয়। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহনাজ মিথুন মুন্নি মুঠোফোনে বলেন, 'তার নাম ঠিকানা আমাকে দেন, আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।'