দাকোপে বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা পস্নাবিত

প্রকাশ | ২৭ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

মো. জাহিদুর রহমান সোহাগ, দাকোপ (খুলনা)
খুলনার উপকূলীয় দাকোপের খোনা এলাকায় ওয়াপদার বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা পস্নাবিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে পাশের তিলডাঙ্গাসহ দুইটি ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার হেক্টর আমনক্ষেত। ভেসে গেছে কয়েক লাখ টাকার পুকুরের মাছ। কাঁচা ঘরবাড়ি ধসে দেড় থেকে দুই হাজার পরিবার খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাছাড়া মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে একই ইউনিয়নের লক্ষ্ণীখোলা কামারবাদ খেয়াঘাট সংলগ্ন ও বানিশান্তা ইউনিয়নের পূর্ব ঢাংমারী এলাকার বেড়িবাঁধ। স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহাবুদ্দিন মোলস্না জানান, গত অমাবস্যায় নদীর অতিরিক্ত পানির চাপে উপজেলার পানখালী ইউনিয়নের খোনা মোলস্নাবাড়ির সামনে পাউবোর প্রায় ১৫০ ফুট ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙে ঢাকী নদীতে বিলীন হয়। গত ৮ দিন ধরে বাঁধ পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করেও বাঁধ আটকানো সম্ভব হয়নি। স্থানীয়রা জানান, পানিবন্দি থাকায় তাদের কাঁচা ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে। ফলে তারা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাছাড়া একমাত্র আমন ফসল নষ্ট হওয়ারও উপক্রম হয়েছে। ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় আছে। বানিশান্তা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুদেব কুমার রায় জানান, পূর্ব ঢাংমারী খ্রিষ্টান বাড়ির সামনে বস্নক ও ডাম্পিং ধসে ওয়াপদা বেড়িবাঁধে ফাটল ধরেছে। এখনই মেরামত করা না হলে যেকোনো সময়ে এলাকা পস্নাবিত হতে পারে। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভাঙনকবলিত স্থানে বাঁধ মেরামতের কাজ দ্রম্নতগতিতে চলছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশা করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল ওয়াদুদ জানান, ভাঙনকবলিত স্থানে জেলা প্রশাসক ১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছেন। এছাড়া ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবারও দেওয়া হয়েছে।