শেরপুরে গৃহবধূ মুক্তাগাছায় শিশু ধর্ষণের শিকার

প্রকাশ | ২৯ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ধর্ষণের অভিযোগে দুইজন ও ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার কারণে এক গ্রাম্য মাতবরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের জামাইল স্কুলপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বুধবার মামলা করেছেন নির্যাতিতা গৃহবধূ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের জামাইল স্কুলপাড়া গ্রামের রবিউল ইসলাম রুবেল (১৯), জামাইল হাটখোলা গ্রামের আব্দুল জলিল (৩২) ও গ্রাম্য মাতবর জামাইল মজলিশিপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম (৫৫)। জানা যায়, বাড়ির সামনে থেকে ওই নারীকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় দুই যুবক। পরে মুখ বেঁধে তাকে গণধর্ষণ করা হয়। এদিকে গণধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গ্রামের মাতবরদের বিরুদ্ধে। তারা গ্রাম্য সালিশ বসিয়ে ২০ হাজার টাকার মাধ্যমে আপস-রফার রায় দেন। সালিশ মানতে রাজি না হওয়ায় ভুক্তভোগী পরিবারকে গ্রাম ছাড়ার হুমকি দেওয়া হয়। এদিকে ময়মনসিংহ প্রতিনিধি জানান, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ফজলু মিয়া (৫৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ফজলু মিয়ার বাড়ি উপজেলার তারাটী পশ্চিমপাড়া গ্রামে। জানা যায়, উপজেলার তারাটী পশ্চিমপাড়া গ্রামে সহপাঠীদের নিয়ে খেলা করছিল। এমন সময় ফজলু মিয়া (৫৫) ওই শিশুকে ডেকে পাশের ধান ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। শিশুর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে ফজলু মিয়া পালিয়ে যায়। পরে ভিকটিম শিশুটির মা মুক্তাগাছা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৯(১) ধারায় মামলা করে। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ফজলু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপস্নব কুমার বিশ্বাস জানান, আসামিকে গ্রেপ্তার করে বুধবার আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।