কুমিলস্নায় দুর্গাপূজায় অনুদানের চাল নিয়ে চালবাজি তদন্তে জেলা প্রশাসন

প্রকাশ | ২৯ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, কুমিলস্না
কুমিলস্নার বরুড়ায় দুর্গাপূজায় সরকারি অনুদানের চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি পূজামন্ডপে ৫শ' কেজি করে চাল না দিয়ে তা বিক্রি এবং নামমাত্র টাকা বিতরণ করা হয়েছে-এমন অভিযোগ জেলা প্রশাসকের কাছে দাখিল করেছেন ভুক্তভোগীরা। এছাড়া ৮২ মন্ডপে বরাদ্দের চাল নিয়ম ভেঙে একটি ডিওতে তুলে নেওয়ারও অভিযোগ করা হয়। বুধবার কুমিলস্না জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর জানান, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে জেলার বরুড়া উপজেলার ৮২টি পূজামন্ডপের জন্য ৪১ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেই চাল সরকারি গুদাম থেকে তুলে কালোবাজারে বিক্রি করা হয়েছে। এবং প্রতিটি পূজামন্ডপে চাল সরবরাহ না করে নগদ ১৪ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়। অভিযোগকারীদের মধ্যে অসীম কুমার দে, পঙ্কজ গোস্বামী, উত্তম কুমার বিশ্বাস ও প্রলয় চন্দ্র দেসহ স্থানীয়রা জানান, ৮২টি মন্ডপের জন্য আলাদা ডিও না দিয়ে একটি ডিওতে সরকারি চাল উত্তোলন করে। সেই চাল কালোবাজারে বিক্রি এবং নূ্যনতম টাকা বিতরণ ও বাকি টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এতে পূজারী ও ভক্তদের অর্ধাহারে অনাহারে থাকতে হয়েছে। ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে বরুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনিসুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহীন হোসেন এবং উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ডা. তপন ভৌমিক ও সাধারণ সম্পাদক তপন কৃষ্ণ বণিকের নামে কুমিলস্না জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহীন হোসেন জানান, পূজা উদযাপন কমিটির নেতা ডা. তপন ভৌমিক ও তপন কৃষ্ণ বণিক ৪১ মেট্রিক টন চালের একটি ডিও নিয়ে গেছেন। তারা মন্ডপগুলোতে চাল নাকি টাকা দিয়েছেন তা জানা নেই। পূজা উদযাপন কমিটির নেতা তপন ভৌমিক ও তপন কৃষ্ণ বণিক জানান, অন্যান্য বছরের মতো এবারো চাল বিক্রি করে সেখান থেকে প্রতি মন্ডপে নগদ ১৪ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে। সরকারি চাল বিক্রি করা যায় কি না এমন প্রশ্নে তারা বলেন, বিষয়টি তাদের জানা নেই। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনিসুল ইসলাম জানান, পূজা উদযাপন কমিটিকে চালের ডিও দেওয়া হয়েছে, তবে চালের পরিবর্তে টাকা দেওয়ার বিষয়টি তার জানা নেই। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মনিরুল হক জানান, ৮২ পূজামন্ডপে ৮২টি ডিওতে চাল বিতরণ করতে হবে। চালের পরিবর্তে টাকা দেওয়ার কোনো বিধান নেই। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অভিযোগের তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঝিনাইদহে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুরের শাহাদতবার্ষিকী পালিত কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি ২৮ অক্টোবর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি হামিদুর রহমানের ৪৯তম শাহাদতবার্ষিকী। দিনটি উপলক্ষে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় বীরশ্রেষ্ঠের গ্রাম খরদো খালিশপুরে নিজ নামে স্থাপিত কলেজে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শফিকুল আজম খাঁন চঞ্চল। বুধবার সকালে হামিদুর রহমান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রফি উদ্দীন ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাশ্বতী শীল ও এসবিকে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফান হাসান চৌধুরী লুথান। উলেস্নখ্য, ২০০৮ সালের ৯ মার্চ শহীদ সিপাহি হামিদুর রহমান গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধের ৪নং সেক্টর কমান্ডার বীরউত্তম (অব.) মেজর জেনারেল সি আর দত্ত। জাদুঘর উদ্বোধনকালে তত্ত্ব্বাবধায়ক সরকারের স্থানীয় সরকার পলস্নী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আনোয়ারুল ইকবাল গ্রামের নাম হামিদনগর ঘোষণা দেন।