ফরিদপুরে সেবা পৌঁছে দিতে জেলা প্রশাসকের গণশুনানি

প্রকাশ | ৩০ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরে সাধারণ মানুষের কথা শুনতে গণশুনানিতে অংশ নেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার -যাযাদি
দেশপ্রেম, সততা আর মমত্ববোধ থাকলে মানুষ অনেক মহানকীর্তি রেখে যেতে পারেন। গতানুগতিক রুটিন কাজের বাইরে গিয়ে তিনি রাখতে পারেন অসামান্য অবদান। মানুষের সেবক হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত রেখে গড়ে তুলতে পারেন পারস্পরিক সম্প্রীতির সেতুবন্ধ। ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার তেমনি একজন মানুষ। জেলার সর্বোচ্চ কর্মকর্তা হয়েও তিনি অসহায় মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করেছেন। তার মানবিক পদক্ষেপে সাড়া পড়েছে পুরো জেলায়। নাগরিক অধিকারটুকু মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই জেলা প্রশাসক ফরিদপুরে যোগদানের পরই আয়োজন করেছেন গণশুনানির। মানুষ যেন সরাসরি তার সমস্যার কথা, দুঃখ-কষ্টের কথা বলতে পারেন সেজন্যই এই উদ্যোগ। তাৎক্ষণিক সমাধান পেয়ে হাসিমুখে বাড়ি ফেরেন অনেকেই। এই অভাবনীয় দৃশ্য দেখে মানুষের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে গভীর আস্থা। শুধু বক্তৃতামালা নয়, কাজ দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অভিজ্ঞমহল। এই তো সেদিনের ঘটনা। ফরিদপুরের সদর উপজেলার ঈশানগোপালপুর ইউনিয়নের ডিগ্রিচর বারখাদা গ্রামের দশম শ্রেণির ছাত্রী চাঁদনী আক্তার। গত কয়েক মাস ধরে তার পরিবার স্কুলের বেতন ও লেখাপড়ার খরচ যোগাতে পারছিল না। লোকমুখে শুনে চাঁদনী আক্তার হাজির হয় জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের কাছে। জেলা প্রশাসক ধৈর্য ধরে তার কথা শুনে সঙ্গে সঙ্গে তাকে নগদ অর্থ সাহায্য ছাড়াও তার পড়াশুনার খরচ বহন করার কথা জানান। জেলার সদরপুর উপজেলার পেয়াজখালী এলাকার পিতৃহীন মিতু (৬) ও নাহিদকে (৪) নিয়ে তাদের মা হাজির হন জেলা প্রশাসকের কাছে। জেলা প্রশাসক তাদের কষ্টের কথা শুনে সঙ্গে সঙ্গে স্কুলে ভর্তি করার ব্যবস্থা করেন। নতুন জামাকাপড় কিনে পরিয়ে দেন তাদের। ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রতি বুধবার সকাল ১০টার দিকে প্রকাশ্যে গণশুনানিতে অংশ নেন জেলা প্রশাসক। ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, 'সুশাসনে গড়ি, সোনার বাংলা' এই সেস্নাগানকে সামনে রেখেই আমরা কাজ করছি। চেষ্টা করছি সাধারণ মানুষের কথা শুনে তাদের সেবা দিতে, তবে আপনাদের সকলের সহযোগিতা দরকার।'