গোপালগঞ্জে ১৩ সংরক্ষিত পুকুরে সুফল পাচ্ছেন স্থানীয়রা

প্রকাশ | ৩০ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি '
মুজিববর্ষ পালন উপলক্ষে গোপালগঞ্জের গ্রাম এলাকার মানুষের নিরাপদ খাবার পানির জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে সংরক্ষিত পুকুর তৈরি করেছে গোপালগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। জেলা পরিষদের জায়গায় পানি সংরক্ষণ ও নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় ১৩টি পুকুর তৈরি করা হয়েছে। আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসনের আওতায় ৭টি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট পস্ন্যান্ট ও জাপানি সহায়তায় ৩টি স্থায়ী ওয়াটার ট্রিটমেন্ট পস্ন্যান্ট নির্মাণ করার কাজ চলছে বলেও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, এসব পুকুরের চারদিক দিয়ে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে প্রবেশ গেট তৈরি করে সংরক্ষিত করা হয়েছে। কাঁটাতারের বাউন্ডারির মধ্যে পুকুরের চারপাড়ে নির্মাণ করা হয়েছে এইচবিবি রোড। পুকুরের পানিতে নামতে পারবে না কোনো মানুষ, গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি। পুকুরের এক কোণে স্থাপন করা হয়েছে সোলার পিএসএফ। পিএসএফে থাকবে পুকুর থেকে তোলা পানির ফিল্টার মেশিন, পানির ট্যাংক, একাধিক পানির ট্যাপ। এই পানির ট্যাপ থেকে খাবার পানি নিতে পারবে যে কেউ। আশপাশের বাসিন্দা, পথচারী, এমনকি দূর-দূরন্তের যে কেউ বাড়িতে খাবার জন্য এই পানি নিয়ে যেতে পারবে। স্থানীয়রা এই সেবা পাবে সার্বক্ষণিক, রাতের বেলাও যাতে মানুষ খাবার পানি সংগ্রহ করতে পারে সেজন্য রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। পুকুরের চতুর্দিকে পর্যাপ্ত লাইট স্থাপন করা হয়েছে, যাতে মানুষ দূর থেকেও সহজে পুকরটি দেখতে পারে বা পুকুরটির প্রতি খেয়াল রাখতে পারে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান টুটুল জানান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নিরাপদ খাবার পানির জন্য পুকুর তৈরি করেছে। এতে ইউনিয়নের বাসিন্দারা আর্সেনিক মুক্ত পানি পানের সুযোগ পাবেন। গোপালগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক কুমার তালুকদার বলেন, গোপালগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে গভীর স্তরে লবণ এবং ওপরের স্তরে আয়রন থাকায় সবখানে গভীর নলকূপ স্থাপন করা সম্ভব হয় না। তাই মুজিববর্ষ পালন উপলক্ষে আমরা জেলার সব মানুষকে নিরাপদ পানি পান করানোর চেষ্টা করছি। জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে জেলা পরিষদের জায়গায় পানি সংরক্ষণ ও নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় ১৩টি এবং পলিস্ন পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় ১২টি পুকুর তৈরি করা হয়েছে।