বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সুনামগঞ্জের হাওড়ে হতে যাচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

ম মিঠু মিয়া, ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ)
  ২১ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০
আপডেট  : ২১ নভেম্বর ২০২০, ১৫:৩৪

সুনামগঞ্জের আহসানমারা সেতুর দক্ষিণে 'দেখার হাওড়ে' হবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। জাতীয় সংসদে সংশোধনী প্রস্তাবে 'দেখার হাওড়ের' স্থানটি রেখে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০ আইন আকারে পাস হয়। বিল পাসের খবরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে হাওড়পাড়ের বাসিন্দারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পর এ জেলায় এখন স্থাপিত হবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। সুনসান নীরবতা, অথৈ জলের আঁধার, বাউরি মাতাল হাওয়ায় নান্দনিক শোভায় শোভিত হাওড়ে এটি স্থাপিত হবে। জানা যায়, গত ৩১ ডিসেম্বর সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সভায় নীতিগতভাবে অনুমোদন পায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়টি। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ জানুয়ারি পরিকল্পনামন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিশাল শো-ডাউন হয় জেলা শহরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্বাচন নিয়ে সদর আসনের এমপি পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ রাজপথে নেমে আসেন। পরে জেলা আওয়ামী লীগ স্থান নির্বাচন নিয়ে ঢাকায় বৈঠক করেন। বৈঠকে আহসানমারা সেতু সংলগ্ন 'দেখার হাওড়ে' বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। গত বুধবার জাতীয় সংসদে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিলের সংশোধনী প্রস্তাব আনা হয়। সুনামগঞ্জ-৫ আসনের এমপি মহিবুর রহমান মানিক সংশোধনী প্রস্তাবে জেলার সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে দেখার হাওড়ে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে বক্তব্য তুলে ধরেন এবং এটি জেলার সব এমপি ঐকমত্য হওয়ায় সিদ্ধান্ত আকারে গৃহীত হয়। ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ বিলকিস বলেন, 'পরিকল্পনামন্ত্রীর প্রচেষ্টায় হাওড়পাড়ের এ জেলায় আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উপহার পেয়েছি। পরিকল্পনামন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সাংহাই হাওড়ে প্রস্তাবনা তুলে ধরলেও বিকল্প হিসেবে দেখার হাওড়ের নির্বাচিত এ স্থানটি বিবেচনায় রেখেছিলেন।' সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন যায়যায়দিনকে বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাওড়বাসীকে ভালোবাসেন বিধায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উপহার দিয়েছেন।' এ জন্য প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান তিনি। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে যায়যায়দিনকে বলেন, 'আমাদের নেত্রী প্রমাণ করলেন হাওড়ের মানুষকে তিনি খুব ভালোবাসেন।' তিনি জানান, আহসানমারা সেতুর দক্ষিণে দেখার হাওড়পাড়ে বিশ্ববিদ্যালয় হবে। তিনি শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে