কক্সবাজারে ৪০ পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা

প্রকাশ | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

কক্সবাজার প্রতিনিধি
অপরাধ দমন ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে পৌরসভার অথার্য়নে কক্সবাজার শহরের ৪০টি পয়েন্টে ৫২টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার কাযার্লয়ে রাখা হয়েছে এর কন্ট্রোল রুম। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন ধরনের অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণ, অপরাধীকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারসহ অপরাধ প্রমাণের উদ্দেশে এই ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৫২টি সিসি ক্যামেরা স্থাপনে ব্যয় হয়েছে তিন কোটি টাকা। আগামী তিন মাসের মধ্যে আরও ১০০ বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। তবে শহরের যেসব ৪০টি পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে সেগুলো হলোÑ বাস টামির্নাল পুলিশ বক্সের পাশে তিনটি, বড় বাজারের সামনের মোড়ে (বাজারঘাটা) তিনটি, ভোলাবাবুর পেট্রল পাম্পের সামনে তিনটি, লালদীঘির পূবর্পাড় মসজিদের সামনে দুটি, পৌরসভার সামনে দুটি, গুনগাছ তলায় দুটি, ঝাউতলা রোডে হোটেল রেনেসঁার সামনে যাত্রী ছাউনিতে দুটি, হলিডে মোড়ে যাত্রী ছাউনির সামনে দুটি, পিটিআই স্কুলের সামনের মোড়ে দুটি, আরআরআরসি অফিসের সামনে দুটি, লাবণীর মোড় যাত্রী ছাউনির সামনে তিনটি, কল্লোল মোড়ে তিনটি, হান্ডি রেস্টুরেন্টের মোড়ে তিনটি, সিইন পয়েন্ট ট্যুরিস্ট পুলিশ বক্সের সামনে তিনটি, সুগন্ধার মোড়ে তিনটি, কলাতলীর মোড়ে চারটি, সুগন্ধা পয়েন্ট ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে দুটি, জাম্বুর মোড়ে দুটি, পাসপোটর্ অফিসের সামনে দুটি, সাকির্ট হাউস গেটের সামনে দুটি, পুলিশ সুপার কাযার্লয়ের সামনে দুটিসহ মোট ৫২টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল হোসাইন বলেন, ‘অপরাধ দমনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের মাধ্যমে পুরো শহরকে নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে। অপরাধীদের শনাক্ত করতে ব্যবহার করা হযেছে উন্নতমানের ক্যামেরা। কোনো অপরাধী বা ছিনতাইকারীর হাতে ট্যুরিস্ট কিংবা স্থানীয় কেউ যাতে অসুবিধায় না পড়ে সেজন্যই আমাদের এই বৃহৎ পরিকল্পনা।’ এদিকে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃর্পক্ষের চেয়ারম্যান লে কনের্ল (অব.) ফোরকান আহমেদ বলেন, সিসি ক্যামেরা নেটওয়াকের্র ক্ষেত্রে যেসব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ আরও সহজ হবে।