উদ্বোধনের ১৪ বছরেও চালু হয়নি হাসপাতাল

প্রকাশ | ২৯ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০

মো. আখতার হোসেন, নন্দীগ্রাম (বগুড়া)
বগুড়ার নন্দীগ্রামে ২০ শয্যা হাসপাতাল শুধু নামেই রয়েছে। ওটিসহ মূল্যবান চিকিৎসা সরঞ্জাম ১৪ বছর আগে উদ্বোধনের সময় যেভাবে আনা হয়েছিল এখনো সেভাবেই আছে। ধুলাবালির স্তূপ পড়েছে সেগুলোর ওপর। নেই কোনো নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারী। শুধু নিয়োগগ্রাপ্ত একজন মেডিক্যাল কর্মকর্তা, ফার্মাসিস্ট ও উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল কর্মকর্তা দিয়ে চলছে হাসপাতালটির বহির্বিভাগ। হাসপাতালটি নির্মাণে সরকারের সাড়ে তিন কোটি টাকারও বেশি খরচ হলেও চালু না হওয়ায় তা এলাকাবাসীর কোনো কাজে আসছে না। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০১-২০০২ অর্থবছরে উপজেলা সদরে ২০ শয্যাবিশিষ্ট একটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সরকারের স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালটির অবকাঠামো নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক খাতে ব্যয় হয় ৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ২০০২ সালে হাসপাতালটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং নির্মাণ কাজের উদ্বোধন ও ২০০৫ সালে এর অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হয়। কিন্তু জনবল নিয়োগ না দেওয়ায় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন আটকে যায়। জনবল নিয়োগ ছাড়াই ২০০৬ সালের ১৮ অক্টোবর হাসপাতালটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে। এরপর দীর্ঘ ১৪ বছরেও জনবলের অভাবে হাসপাতালটি আর চালু হয়নি। ফলে হাসপাতালের বিশাল ক্যাম্পাসজুড়ে ঘাস ও বিভিন্ন গাছ-জঙ্গল গজিয়েছে। আবাসিক ভবনগুলো নষ্ট হতে চলেছে। শুধু একটি কক্ষে চলছে বহির্বিভাগের প্রাথমিক চিকিৎসা কার্যক্রম। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তোফাজ্জল হোসেন মন্ডল বলেন, জনবলের অভাবে হাসপাতালটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা যাচ্ছে না। জনবল চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে একাধিকবার চিঠি পাঠানো হয়েছে। এখনো সরকারিভাবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। জানতে চাইলে বগুড়া-৪ আসনের সাংসদ মোশারফ হোসেন বলেন, হাসপাতালটি চালু করার বিষয়ে সংসদে কথা বলেছেন। ইতোমধ্যেই একটি নিরীক্ষা কমিটি গঠন করে প্রতিবেদন তৈরি করেছে। প্রতিবেদনের আলোকে তারা হাসপাতালটি শিগগিরই চালুর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন।