নীলফামারীতে জেঁকে বসেছে শীত

প্রকাশ | ২৯ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী
নীলফামারীতে জেঁকে বসেছে শীত। গত তিন দিন ধরেই আকাশ মেঘলা। সঙ্গে আছে ঘন কুয়াশা। এতে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। সন্ধ্যা নামলে পথঘাট, হাট-বাজার জনশূন্য হয়ে পড়ে। রাতে তাপমাত্রা আরও কমে যায়। শনিবার সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বয়স্করা কাঁথা জড়িয়ে গুটিশুটি হয়ে বসে আছেন। গবাদি পশুর গায়ে চট জড়িয়ে গরম পানি খাওয়াতে দেখা গেছে। স্থানীয় হাসপাতালে বাড়ছে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা। এদের মধ্যে অধিকাংশই নিউমোনিয়া ও সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত। জেলার সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া সহকারী লোকমান হাকিম জানান, সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ধারণা করা হচ্ছে, এটি ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস। এছাড়াও উত্তর পশ্চিম দিক থেকে আসা ঠান্ডা বাতাসের কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। এই আবহাওয়া স্থায়ী হতে পারে। জেলা শহরের শাহীপাড়া মহলস্নার বাসিন্দা মিন্টু চৌধুরী জানান, এবার একটু আগাম শীত এসে পড়েছে। বয়স্কদের সকালবেলা আগুন পোহাতে দেখা যায়। নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি ও সুবাহ্‌ বার্তা পত্রিকার উপদেষ্টা প্রকৌশলী এসএম সফিকুল আলম ডাবলু জানান, সন্ধ্যার পর পরই কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাস অনুভূত হয়। এছাড়াও সকাল ৯টা পর্যন্ত দূরপালস্নার যানবাহন হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এনামুল হক জানান, জেলায় এবার আগাম শীত পড়েছে। শীতের সময় ভাইরাসজনিত রোগ বৃদ্ধি পেতে থাকে। এতে বয়স্ক ব্যক্তি ও শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়। তাপমাত্রা কম থাকায় শীতে ভাইরাসজাতীয় রোগ আরও বেশি শক্তিশালী হয়। তাই করোনা প্রতিরোধে হাত বারবার ধোয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, শীত মোকাবিলায় প্রশাসনের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। জেলার কোনো মানুষ যেন শীতে কষ্ট না পায় তাই সরকারের ত্রাণ তহবিল থেকে শীতবস্ত্র মজুতসহ আরও বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।