পদ্মার আগ্রাসী ছোবল

ছোট হয়ে আসছে নড়িয়ার মানচিত্র

প্রকাশ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ভয়াবহ ভাঙনের কবলে নড়িয়া উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল Ñযাযাদি
শরীয়তপুর প্রতিনিধি শতাব্দীর ভয়াবহতম ভাঙনের কবলে পড়েছে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার একটি বৃহৎ জনপদ। সমাজের হতদরিদ্রদের পাশাপাশি সচ্ছল পরিবারগুলো তাদের শত বছরের আবাসস্থল হারিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে অন্যের জমি বা বাড়িতে। গত এক মাসে পদ্মা নদীর আগ্রাসী ছোবলে বিলীন হয়েছে ৬ হাজারেরও বেশি মানুষের বসতবাড়ি, ফসলি জমি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি হাসপাতাল, বেসরকারি ক্লিনিক, মসজিদ, মন্দির, পাকা সড়ক, বিদ্যুৎ লাইন, সামাজিক প্রতিষ্ঠানসহ মানুষের স্থাবর-অস্থাবর সকল সম্পদ। নড়িয়া পৌর এলাকা, মোক্তারের চর ও কেদারপুর ইউনিয়নের প্রায় ১০ কিমি এলাকা হারিয়ে গেছে নদীগভের্। ফলে ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে নড়িয়ার মানচিত্র। হাজার হাজার বাস্তুহারা মানুষের মাথা গেঁাজার ঠঁাই না হওয়ায় আর প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহায়তা না পাওয়ায় তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ঠিকমতো দু’বেলা খাদ্য আর চিকিৎসাসেবার সুযোগ না থাকায় গোটা এলাকায় হাতছানি দিচ্ছে এক মানবিক বিপযর্য়। জানা যায়, চলতি বছরের ২ জানুয়ারি জাজিরার কুন্ডেরচর থেকে নড়িয়ার সুরেশ্বর পযর্ন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার এলাকায় পদ্মার ডান তীর প্রতিরক্ষার জন্য স্থায়ী বঁাধ নিমাের্ণ সরকার ১ হাজার ৯৭ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করে। কিন্তু নানা জটিলতায় শুষ্ক মৌসুমে বঁাধ নিমাের্ণর কাজ শুরু না করায় এ বছরও ভাঙন শুরু হয়েছে ব্যাপক এলাকা নিয়ে। বতর্মানে ভাঙনকবলিত চার কিলোমিটার এলাকায় জরুরি প্রতিরক্ষামূলক কাজ করার জন্য ২০ কোটি টাকার আবেদন করা হলে অনুমোদন পাওয়া গেছে মাত্র ২ কিলোমিটার ভাঙনকবলিত এলাকায় বালুভতির্ জিও ব্যাগ ফেলার জন্য তিন দফায় ৭ কোটি ২০ লাখ টাকা, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল এবং এত টাকা খরচ করেও ফল আসেনি সিকিভাগ। এদিকে সময়মতো মূল প্রকল্পের কাজ না করায় ক্ষোভ জমেছে স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে। তাদের দাবি, স্থানীয় ক্ষমতাসীন নেতাদের রেষারেষি এবং সমন্বয়হীনতার কারণেই গত শুষ্ক মৌসুমে প্রকল্পের কাজ শুরু করা যায়নি। শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোডের্র নিবার্হী প্রকৌশলী শেখ মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আইনগত বিভিন্ন প্রক্রিয়ার কারণেই গত শুষ্ক মৌসুমে কাজ শুরু করা যায়নি।