বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঠাকুরগাঁও মুক্ত দিবস আজ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
  ০৩ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০

আজ ৩ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত হয় এ জেলা। ৯ মাস মরণপণ যুদ্ধ শেষে বীরের বেশে ঠাকুরগাঁওয়ে প্রবেশ করার মাধ্যমে জনমানবহীন শহরকে নতুন করে প্রাণ সঞ্চার করেছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। কয়েক লাখ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সংবর্ধনা আর জয় বাংলার ধ্বনি শুনে আবেগাপস্নুত হয়ে পড়েছিলেন তারা। এই জেলার মাটিতে উড়িয়েছিলেন স্বাধীন বাংলার পতাকা।

'৭১-এর ২৫ মার্চ পাকসেনারা ঝাঁপিয়ে পড়ে এ দেশের নিরীহ মানুষের উপর। তাদের প্রতিরোধ করতে সারাদেশসহ ঠাকুরগাঁবাসীও গড়ে তুলেছিল দুর্বার আন্দোলন। অংশ নিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধে। প্রায় ৮ মাস যুদ্ধের পর ৩০ নভেম্বর হানাদার বাহিনীর হাতছাড়া হয় পঞ্চগড়। এর পর ঠাকুরগাঁওয়ে ঘাঁটি স্থাপন করে পাকবাহিনী।

২ ডিসেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধারা বালিয়ার ভুলস্নী ব্রিজ উড়িয়ে দেন। মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে পিছু হটতে বাধ্য হয় পাকবাহিনী। ৩ ডিসেম্বর বিজয়ের বেশে ঠাকুরগাঁওয়ে প্রবেশ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

যুদ্ধের বর্ণনা দিতে গিয়ে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বদরুদ্দোজা বদর বলেন, যুদ্ধে পাকসেনারা পিছু হটতে শুরু করে। ঠাকুরগাঁওয়ের অদূরে ভুলস্নী ব্রিজ আমরা বোমা মেরে উড়িয়ে দিলে পাকসেনারা সৈয়দপুরে পালিয়ে যায়। আমরা ঠাকুরগাঁও শহরে বীরের বেশে প্রবেশ করি।

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মাহবুবুর রহমান বাবলু মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একটি পৃথক দিবস ও প্রত্যেক জেলায় পৃথক গোরস্থানের দাবি জানান।

উদীচী জেলা সংসদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও প্রশাসন দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করে থাকে। এ বছর জেলা আওয়ামী লীগও প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে দিবসটি পালনে কর্মসূচি দিয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে