টাকির্ পালনে রাবেয়ার চমক

প্রকাশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

গোলাম মোস্তফা, মেহেরপুর
রাবেয়া বুশরা
ব্রিটিশ জাতের টাকির্ মুরগির খামার করে মেহেরপুরের সফল নারী উদ্যোক্তা রাবেয়া বুশরা এখন সবার নজর কেড়েছেন। ৬ থেকে ৭ মাসের একটি টাকির্ মুরগির ওজন হয় ২২ থেকে ২৪ কেজি। পোল্ট্রি মুরগির চেয়ে এই জাতের মুরগি পালন অনেক লাভজনক। তাই লেখাপড়া শেষ করে খামার গড়ে এখন স্বাবলম্বী তিনি। তার খামার দেখে খামার তৈরি করতে এখন প্রতিদিনই তার কাছে ভিড় করছে উৎসাহী লোকজন। মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম বানিয়াপুকুর। এই গ্রামের গৃহবধূ রাবেয়া বুশরা। স্বামী সংসারের সচ্ছলতা আনতে বিদেশে থাকলেও স্বামীর অনুপ্রেরণায় তার শ্বশুরবাড়িতে গড়ে তুলেছেন ব্রিটিশ জাতের টাকির্ মুরগির খামার। সিলেট থেকে বাচ্চা সংগ্রহ করে তৈরি তার খামার এখন বদলে দিয়েছে রাবেয়ার জীবন। এক বছরে খামারের আয় দিয়ে বাড়ি ও খামার পাকাকরণসহ বাচ্চা তৈরির ইনক্রুবেটর মেশিন কিনেছেন। ডিম থেকে ২৫ দিনে ফোটা প্রতিটি বাচ্চা এখন ১০০০ টাকায় বিক্রি হয়। তাছাড়া তার খামারের এই বিশেষ জাতের মুরগির ওজন ৬-৭ মাসে ২২ থেকে ২৪ কেজি হয়ে থাকে। চাহিদা ভালো হওয়ায় ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে এই মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি এবং খাবার সহজলভ্য হওয়ায় এই জাতের মুরগি পালন পোল্ট্রি মুরগির চেয়ে লাভজনক। গত তিন মাসে শুধু বাচ্চা বিক্রি করে তিনি আয় করেছেন ৫ লাখ টাকা। এই খামার দেখে খামার তৈরিতে এখন অনেকেই তার বাড়িতে ভিড় করছেন। রাবেয়ার এই সফলতায় তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনও খুব খুশি। রাবেয়া বুশরা জানান, বেকার যুবক বা মহিলারা যদি চাকরির পেছনে না ঘুরে প্রথমে স্বল্প পরিসরে টাকির্ পালন শুরু করে, তবে লাভবান হবে। টাকির্ পালনে বেশি শ্রম দিতে হয় না। পোল্ট্রি মুরগির চেয়ে টাকির্ মুরগির রোগ-বালাই কম। জেলা প্রাণিসম্পদ কমর্কতার্ জাহাঙ্গির আলম জানান, রাবেয়া বুশরার খামারে বিশেষ প্রজাতের টাকির্ মুরগি এখন জেলায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। শুধু রাবেয়াই নয় জেলায় এখন দিন দিন বাড়ছে টাকির্ মুরগির খামার। টাকির্ মুরগির খামার বাড়াতে তাদেও পক্ষ থেকে রোগ-বালাই প্রতিরোধসহ চাষিদের বিভিন্ন পরামশর্ দেয়া হচ্ছে।