তিস্তায় ভাঙন, আতঙ্কে তীরবতীর্রা

শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি বিলীন

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

প্রহলাদ মÐল সৈকত, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম)
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা নদের ভাঙনের একাংশ Ñযাযাদি
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তা নদীর ভাঙ্গন আতংকে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ৩টি ইউনিয়নের কয়েকশ মানুষ। গত সপ্তাহে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার তিস্তা নদীর গভের্ বিলীন হয়েছে প্রায় শতাধিক পরিবারের ঘর-বাড়ীসহ ফসলী জমি। ফলে তিস্তার নদীর পাড়ে সহস্রাধিক মানুষ ঘরবাড়ী বিলীনের আতংকে দিনাতিপাত করছে। উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের মন্দির পাড়ামৌলা গ্রামের বন্যানিয়ন্ত্রন বঁাধ, ঘড়িয়ালডাঙ্গা খিতাব খঁা বুড়ির হাট বঁাধ হুমকির মধ্যে রয়েছে। এছাড়া নাজিমখান ইউনিয়নের রতিদেব গ্রামের ফসলী জমি ও অধর্শতাধিক পরিবারের ঘর-বাড়ী তিস্তা নদী গভের্ বিলীনের পথে। এসব এলাকায় স্পার বঁাধে গ্রোয়েন বঁাধ দেয়া না হলে কিছুতেই ভাঙ্গন ঠেকানো যাবে না। স্থানীয় জন প্রতিনিধি লাভলু মিয়া ও খোরশেদ আলম জানান, সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষ কুড়িগ্রাম পাউবো বিভাগ নদী ভাঙ্গন রোধের দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহন না করলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়বে পাউবোর বেড়ি বঁাধ ও ক্রস বঁাধ। তাই তিস্তা পাড়ের মানুষজন বালুর বস্তা দিয়ে ভাঙ্গন ঠেকানোর চেষ্টা করছে। ভাঙ্গন আতংকে থাকা গৃহবধু রাবেয়া ও আম্বিয়া বেগম জানান, ‘আমাগো জায়গা তিস্তা নদী গ্রাস করছে। এবারে ৩বিঘা জমির আমন ধান করেছি তাও খায়া গ্যাছে। তিস্তার ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আনছার আলী (৫৪), দুলাল (৪৬), আষাঢু (৪৫), চিনুনাথ (৪৯), সামাঢু (৪৫) বলেন, এই এলাকায় প্রায় ৩শতাধিক মানুষ আতংকে রয়েছে। এই নদী শাসনের ব্যবস্থা না করা হলে শুধু তারা না তিস্তা রক্ষা বেরী বঁাধ ভেঙ্গে রাজারহাট শহর পানিতে ডুবে যাবে। এ প্রসঙ্গে বিদ্যানন্দ ইউপি চেয়ারম্যান মো. তাইজুল ইসলাম বলেন, তিনি বিষয়টি পাউবোর কমর্কতাের্দর জানিয়েছেন। নদী ভাঙ্গন রোধের দ্রæত ব্যবস্থা নেয়া না হলে আরো বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়বে তিস্তা পাড়ের মানুষ ও তিস্তা রক্ষা বঁাধ। মঙ্গলবার কুড়িগ্রাম পাউবো নিবার্হী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্র বাধে ভাঙ্গন ঠেকাতে জিও বস্তায় বালু ভতির্ করে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে রাজারহাট উপজেলা নিবার্হী অফিসার মুহ. রাশেদুল হক প্রধান বলেন, পানি উন্নয়ন বোডের্র লোকজনের সাথে সমন্বয় করে ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।