মৃত ব্যক্তি তুললেন বয়স্ক ভাতার টাকা!

প্রকাশ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

শেরপুর প্রতিনিধি
মৃত ব্যক্তিও ব্যাংক থেকে বয়স্ক ভাতার টাকা তুলে নেয়! এমন ঘটনা ঘটেছে শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলা রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকে। যে হিসাব থেকে টাকা তোলা হয়েছে তার নম্বর ১০১৯১। আর এ খবর ছড়িয়ে পড়ায় কাডর্ বিতরণকারীদের অনৈতিক কমর্কাÐ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। স্থানীয় ওয়াডর্ মেম্বার আ. কুদ্দুছ জানায়, সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়াডের্র বাসিন্দা বয়স্ক ভাতা কাডর্ধারী ছইতন বেওয়া ২০১৭ সালে একটি বয়স্ক ভাতার কাডের্র আবেদন করার পর ৫ মাচর্ মারা যায়। কিন্তু ওই মহিলা মারা যাওয়ার পর কে বা কারা তার ছবি পাল্টিয়ে ও টিপসই জাল করে ছইতন নেছা সেজে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়ে গেছে। ঝিনাইগাতি সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার একেএম শরিফুল্লা জানান, মৃত ব্যক্তির টাকা উত্তোলন হয়েছে কিনা জানি না। তারা সমাজসেবার তালিকা অনুযায়ী ও কাডর্ দেখে টাকা বিতরণ করে থাকেন। এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতি উপজেলার সমাজসেবা কমর্কতার্ আরিফুর রহমান বলেন, ‘আমার জানামতে ২০১৬ সাল থেকে ২০১৭ সাল পযর্ন্ত প্রায় দেড় বছরের টাকা বরাদ্দের পর ওই ব্যক্তি মারা যায়। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম মৃত ব্যক্তির নামের কাডির্ট নিয়ে নমিনির হাতে তুলে দেন যাতে নিয়মানুযায়ী নমিনিরা টাকাগুলো পায়।’ এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিরুজ্জামান লেবুর সুপারিশকৃত ওই কাডির্ট তার হাতে দেই এবং আমার পরিচিত কাডর্গুলো আমি নিজ হাতেই বিতরণ করি। কিন্তু দীঘর্ প্রায় পঁাচ মাস পর লেবু ভাই কাডির্ট আমার হাতে ফেরত দিয়ে বলেন, মহিলাটি মারা গেছে, তাই তার কাডির্ট অন্য কারও নামে বরাদ্দ দিয়ে দিও। এরপর আমি ওই কাডির্ট অন্যের নামে বরাদ্দ করে দিছি।।’ তবে এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিরুজ্জামান লেবু বলেন, ‘আব্দুর রহিমের অভিযোগ মিথ্যে ও ভিত্তিহীন।’