টাঙ্গাইল

যমুনায় বাড়ছে পানি, ভাঙছে বাড়ি

প্রকাশ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল, টাঙ্গাইল
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার পূবর্ কঞ্চিপাড়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়ি বঁাধ ভেঙে প্লাবিত হয় কয়েকটি গ্রাম Ñযাযাদি
যমুনা নদীর টাঙ্গাইল অংশে বিভিন্ন পয়েন্টে উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিন আগে বৃষ্টির কারণে পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৭ দিনে নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি পেঁৗছেছে। অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার সাবির্ক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। জেলার যমুনা তীরবতীর্ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মাহমুদ নগর ইউনিয়নের মাহমুদনগর, কুকুরিয়া; ভ‚ঞাপুর উপজেলার অজুর্না, বরুহা, কুঠিবয়ড়া, জগৎপুরা, তারাই, বলরামপুরসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। যমুনা পাড়ের চরাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। যমুনায় পানি বৃদ্ধি ও ভাঙনকবলিত এলাকা মঙ্গলবার পরিদশর্ন করেন, পানি উন্নয়ন বোডের্র প্রধান প্রকৌশলী ফখরুল ইসলাম। এ সময় তিনি ভাঙনরোধে সদর উপজেলার মাহমুদ নগর ইউনিয়নের মাহমুদনগর গ্রাম, কুকুরিয়াসহ ভূঞাপুর উপজেলার কুঠিবয়ড়া এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলার কাযর্ক্রম সরেজমিনে পরিদশর্ন করেন। এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মাহমুদ নগর ইউনিয়নের কুকুরিয়া এলাকার মো. হানিফ বলেন, যমুনার আগ্রাসী থাবায় তাদের বসতভিটা, রাস্তা-ঘাট, মসজিদ নদীগভের্ চলে গেছে। ভ‚ঞাপুর উপজেলার কুঠিবয়ড়া এলাকার মো. হালিম সরকার বলেন, গত ৭ দিনে যমুনায় অনেক পানি বেড়েছে। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। সরকারের কাছে যমুনার পাড়ে স্থায়ী বেড়িবঁাধের দাবি জানান তিনি। এ বিষয়ে ভ‚ঞাপুর উপজেলার পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম অ্যাডভোকেট বলেন, কয়েকদিন যাবত উপজেলার অজুর্না, বরুহা, জগৎপুরা, তারাই, বলরামপুরসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের বিষয়টি গত জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করার পর পানি উন্নয়ন বোডের্র পক্ষে থেকে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। যা ভাঙন রোধে কিছুটা হলেও কাজ করবে। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোডর্ টাঙ্গাইলের নিবার্হী প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, যমুনার টাঙ্গাইল অংশে পানি বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির গতি কম থাকায় আশা করছি, পানি আর বৃদ্ধি পাবে না। জেলার বিভিন্ন স্থানে ভাঙনরোধে তাৎক্ষণিকভাবে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন ঢাকা বোডের্র প্রধান প্রকৌশলী ফখরুল ইসলাম বলেন, ভাঙনের খবর পেয়ে ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলে এসেছি। ভাঙনরোধে তাৎক্ষণিকভাবে নদীতে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।