শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
মাসুমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ

নৌকার প্রতীক চান বর্তমান চেয়ারম্যান মিরোজ হোসেন

আরিফ আহমেদ সিদ্দিকী, পাবনা
  ১৪ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত গ্রাম হবে শহর কর্মসূচি বাস্তবায়নসহ অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করতে আবারও নৌকা প্রতীক চান পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার মাসুমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মিরোজ হোসেন। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক ও বাংলাদেশ চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক। ইতোমধ্যে নিজ কর্মগুণে জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পাশাপাশি ভারত থেকেও শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবে সংবর্ধিত হয়েছেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাকে দিয়েছে সংবর্ধনা, সম্মাননা।

অসহায়, দরিদ্র, অসুস্থ ও অসচ্ছল নানা পেশার মানুষের কাছের আপনজন হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন তরুণ রাজনীতিবিদ ও জনপ্রতিনিধি মিরোজ হোসেন। নির্বাচিত হওয়ার পর নিজ এলাকায় রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দির, বিদু্যৎ সংযোগ, সৌর বিদু্যৎসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরকারি, বেসরকারি ও নিজ উদ্যোগে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অকুণ্ঠ চিত্রে। একইসঙ্গে এগুলোর নিয়মিত খোঁজ খবরও রাখেন।

করোনা মহামারিতে চেয়ারম্যান মিরোজ হোসেন নিজ কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন ত্রাণের বস্তা। কখনো পায়ে হেঁটে, কখনো ভ্যানগাড়ি ঠেলে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের অসচ্ছল, কর্মহীন, দরিদ্র মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন খাদ্যসামগ্রী।

বন্যা ও শীতের মধ্যেও তার সহায়তার হাত বন্ধ হয়নি। খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি মাথা গোজার ঠাঁইও করেছেন তিনি। ইউনিয়নের ভুক্তভোগী মানুষের জন্য অসচ্ছতা ও দুর্নীতি রোধ করে নিজ হাতে বণ্টন করেছেন দরিদ্র হতদরিদ্র মানুষের জন্য সরকারি চাল সহায়তা, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা। জমি আছে ঘর নেই, আবার জমি নেই ঘরও নেই এমন প্রায় দুই শতাধিক মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তার মাধ্যমে তাদের মাথা গোজার ঠাঁই করে দিয়েছেন।

মিরোজ হোসেন বলেন, 'ছোট থেকেই মানুষের সেবার ব্রত নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। এলাকার নানা বয়সের মানুষ আমাকে যথেষ্ট স্নেহ করেন, ভালোবাসেন। অল্প বয়সেই জনপ্রতিনিধি হওয়ার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছি। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে মানুষগুলো যে স্বপ্ন দেখে আমাকে এই জায়গায় এনেছিলেন, তাদের সেই স্বপ্ন পূরণে কাজ করছি। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেই ইউনিয়নকে একটি আধুনিক, যুগোপযোগী ও মডেল ইউনিয়ন করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে পুরো ইউনিয়নকে ডিজিটালাইজড করতে সক্ষম হয়েছি। ইউনিয়নের সব কর্মকান্ডে এখন ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। সেবার তথ্য চলে যাচ্ছে মুঠোফোনের ক্ষুদে বার্তায়।' তিনি আরও বলেন, চেয়ারম্যান হওয়ার পর সারাদেশের মধ্যে তিনিই প্রথম জানুয়ারিতে প্রাথমিক স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নতুন বইয়ের সঙ্গে একটি করে স্কুল ব্যাগ দিয়েছেন। অল্প সময়ের মধ্যেই প্রত্যেকটি মসজিদে জায়নামাজ ও তসবি দেওয়া হবে।

এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিরা বলেন, মিরোজ বয়সে তরুণ। কিন্তু কর্মে যোগ্য। আবারও চেয়ারম্যান হওয়ার মতো অনেক কাজ করেছে। বয়স্কদের জন্য ক্লাব করে দিয়েছে। তারা সেখানে বসে সময় কাটান, গল্প করা, পত্রিকা পড়া ও টিভি দেখেন। তারা চান মিরোজ আবার চেয়ারম্যান হবে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের দাবি, মিরোজ হোসেন অল্পসময়ের ব্যবধানে দক্ষ সংগঠক হয়ে উঠেছেন। সুন্দর নেতৃত্ব দিয়ে দলকে সুসংগঠিত করতে কাজ করছেন। কেবল ইউপি চেয়ারম্যান নন, তার মতো তৃণমূলে একজন ভালো নেতাও প্রয়োজন। তারা মনেপ্রাণে চান তিনি আবার আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবেন। তাদের বিশ্বাস, মিরোজ বিপুল ভোটে জয়ী হবেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে