শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

খানসামার নান্দনিক শিশুপার্কে বাড়ছে দর্শকদের আগ্রহ

নুরনবী ইসলাম, খানসামা (দিনাজপুর)
  ১৬ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা পরিষদ চত্বরে নির্মাণ করা হচ্ছে নান্দনিক উপজেলা শিশুপার্ক। এতে শোভা পাচ্ছে শিশুদের বিভিন্ন ধরনের খেলনা ও নানা প্রজাতির পশু-পাখির মু্যরাল। পার্ককে ঘিরে শিশু ও অভিভাবকরা বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

শিশুদের চিত্তবিনোদন ও মেধা বিকাশের জন্য পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন খেলনার পাশাপাশি নানা প্রজাতির মু্যরালে সজ্জিত করা হয়েছে। পার্কের বিভিন্ন স্থানে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে সেবাগ্রহীতাদের জন্য বক চত্বরসহ বসার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে টাইলস নির্মিত বেঞ্চ। পার্কে শিশু ও দর্শনার্থীরা বিনোদন আর ঘোরাঘুরিই শুধু নয় বিলুপ্তপ্রায় বিভিন্ন পশু-পাখির ছবির সঙ্গে পরিচিত ও শিক্ষাও গ্রহণ করতে পারবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলামের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ পার্কের শ্রী দিন দিন বাড়ছে।

সরেজমিনে পার্কে ঘুরে দেখা যায়, পার্কে প্রবেশের সময় শিল্পী ও ফটোগ্রাফাররা ছবি তুলছে। পার্কের মাঝে ২টি হরিণ দাঁড়িয়ে আছে আর তাদের ১টি বাচ্চা ঘাস খাচ্ছে। তার পূর্বে ৫টি বক দিয়ে নির্মিত বক চত্বরের পার্শ্বে রয়েল বেঙ্গল টাইগার মুখ হা করে হরিণের দিকে তাকিয়ে আছে। পশ্চিম-উত্তর দিকে আড়াআড়িভাবে সাজানো রয়েছে হাতি, জিরাফ, ঘোড়া, প্রজাপতি ও সিংহের মু্যরাল। উত্তর-পূর্ব দিকে উটপাখি, ক্যাঙ্গারু ও ছবি তোলার জন্য নির্মিত রাস্তার দু'পাশে দুটি পেঙ্গুইন। পূর্ব দিকে ড্রাগন ও ডাইনোসর মুখোমুখি অবস্থানে। তাদের সামনে কলা খাওয়া অবস্থায় বানর ও স্যালুট অবস্থানে গরিলা। বানর ও গরিলার দক্ষিণ পার্শ্বে আড়াআড়িভাবে ৩টি জেব্রা পূর্ব-দক্ষিণ হয়ে পশ্চিমের দিকে গাছের নিচে সাজানো মুখোমুখি অবস্থানে। শাদা ও লালচে কালারের ৪টি সারোস, ডালের নিচে বসা ৪টি টিয়া, পাখা মেলে বসে আছে ২টি ময়ুর। বাদ্যযন্ত্র বাঁজানোর তালে তালে নাচ অবস্থায় ২টি হাঁসের কার্টুন, জাতীয় পাখি দোয়েল ও মা হাতির মুখের দিকে তাকিয়ে ছোট হাতির বাচ্চা। এছাড়াও নির্মাণ করা হচ্ছে ডানা মেলে উড়ন্ত ঈগল পাখির মু্যরাল। পশু-পাখির সমারোহ ছাড়াও শিশুদের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে দোলনা, রাউন্ড দোলনা, ঘোড়া রাউন্ড দোলনা, স্স্নিপার। ঘুরার জন্য রয়েছে সৌন্দর্যময় টাইলসের রাস্তা। আর বসার জন্য রয়েছে সুন্দর সুন্দর টাইলস দিয়ে নির্মিত বেঞ্চ।

উপজেলায় কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জানান, ছুটির দিনে ও অফিস করে অবসর সময়ে পার্কে গেলে ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। মনটা আনন্দময় হয়ে উঠে। বিকালের দিকে বাচ্চাদের নিয়ে খেলাধুলা করা যায়। এরকম একটি নান্দনিক শিশুপার্ক গড়ে তোলার জন্য ইউএনও আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলামকে ধন্যবাদ জানান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম বলেন, শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ ধরনের একটি পার্ক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ শিশুপার্কে বিভিন্ন প্রাণীর মু্যরাল ও রাইড স্থাপন করা হয়েছে এবং আরও কিছু নতুন নতুন রাইড স্থাপন করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে