খাদ্যশস্য উৎপাদনে বিপ্লব

কক্সবাজার

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রতি বছরই আমন এবং বোরো মৌসুমে উৎপাদনে সরকার নিদির্ষ্ট লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে কক্সবাজার জেলা। কৃষি বিপ্লব করে জেলাটি এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূণর্। এর মধ্যে উৎপাদিত খাদ্যশস্য স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে জাতীয় উৎপাদনে অবদান রাখার রেকডর্ গড়েছে এ জেলার কৃষকেরা। গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যানে এমন চিত্রই উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কমর্কতার্রা। কৃষি বিভাগের হিসাব মতে, কক্সবাজারের ২৪ লাখ মানুষের জন্য খাদ্যের চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন কিন্তু উৎপাদন হয়েছে ৪ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন। অতিরিক্ত ৩৫ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে, যা দেশের মোট চাহিদার সঙ্গে যোগ হয়ে অবদান রাখছে বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আকম শাহারিয়ার। তিনি আরও বলেন, ইউরিয়া, টিএসপি,এমওপি সারে সরকারের ভতুির্ক, বীজ প্রাপ্তিতে সহজীকরণ, সুলভমূল্যে বীজ বিক্রি, কৃষকদের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদে প্রশিক্ষণ, কৃষকদের গ্রæপভিত্তিক প্রশিক্ষণ, কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার, আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের কারণে কক্সবাজার এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূণর্। জানা যায়, ২০১৭-২০১৮ অথর্বছরে আমনের বাম্পার ফলনের ফলে আগের বছরের রেকডর্ ছাড়িয়ে যায়। সে বছর ৭৭ হাজার ৭৩৩ হেক্টরে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৯ হাজার ৫৭৮ মেট্রিক টন। আমন ধানের বেশি ফলন হওয়ায় সেবার ও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে প্রায় আড়াই লাখ টন চাল উৎপাদন হয়। ২০১৮-২০১৯ অথর্বছরে জেলায় আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৭ হাজার ৯৮৫ হেক্টরে ২ লাখ ১২ হাজার ৪০২ মেট্রিক টন যা গত বছর উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ২ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হয়। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজারে উফশী জাতের মধ্যে বিনা ৮, ১০, ব্রি-১১, ২২, ২৩, ২৯, ৩৩, ৭৪, ৬২, ৩৩, ৫৮ এবং হাইব্রিডের মধ্যে সুপার, হীরা, পান্না, ময়না, হরি, পাইজার, ভারতীয় পাইজাম জাতের ধান বেশি চাষ হয়। তবে স্থানীয় লাল ধান চাষেও কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। এ সফলতার কৃতিত্ব দাবি করে কক্সবাজার সদর উপজেলা উপসহকারী কৃষি কমর্কতার্ মো লোকমান হাকিম বলেন, কৃষকদের নিয়ে তিনটি করে বøক করে ৭১টি ইউনিয়নে ২১৩টি গ্রæপ করে প্রতি সপ্তাহে পরামশর্ সভা করা হয়। কীটনাশকের সঠিক ব্যবহার, ভালো জাত বাছাই, বিভিন্ন প্রদশর্নী আয়োজন করার কারণে কৃষকরা সচেতন হওয়ায় প্রতি মৌসুমেই উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।