বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

তিন উপজেলায় ৮৩৭ পাকা ঘর পাচ্ছে গৃহহীন পরিবার

স্বদেশ ডেস্ক
  ১৭ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

তিন জেলায় ৮৩৭টি পাকা ঘর পাচ্ছে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। তার মধ্যে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৭০ ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ২০০ ও দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে পাচ্ছে ৫৬৭টি পরিবার। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম): কুড়িগ্রামের রাজারহাটে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য নির্মিত ৭০টি আধাপাকা ঘরের বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। এর মধ্যে পাকা ঘরের নির্মাণ শেষ হওয়ায় এগুলো হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আগামী ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এগুলো হস্তান্তর করবেন প্রকৃত ভূমিহীন পরিবারের কাছে। এ ব্যাপারে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. নূরে তাসনিম বলেন, ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের বরাদ্দকৃত আধাপাকা বাড়ি নির্মাণ শেষ হওয়ায় ইতোমধ্যে পরিদর্শন করা হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তরের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।

গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) : ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার ২০০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য নির্মিত হচ্ছে আধাপাকা ঘর স্বপ্ননীড়। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় সরকারি খাসজমিতে এসব ঘর নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে। বরাদ্দপ্রাপ্ত গৃহহীন ও ভূমিহীনদের তালিকাও তৈরি করা হয়। আশা করা হচ্ছে আগামী ২৩ জানুয়ারি সারাদেশে একযোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক উদ্বোধনের পরপরই স্বপ্ননীড়ের ঘরগুলো গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, 'আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার' মুজিববর্ষে এ স্স্নোগান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খাসজমিতে গৃহহীন ও ভূমিহীন ২০০ পরিবারকে আধাপাকা ঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে।

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর): দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার স্বল্প আয়ের মানুষ, ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধীসহ ৫৬৭টি ভূমিহীন গৃহহীন পরিবারকে পাকাঘর করে দেওয়া হচ্ছে। ২১ সালের জানুয়ারির মধ্যেই এসব ঘর ও দুই শতক জমির দলিলসহ সুবিধাভোগীদের হাতে হস্তান্তর করা হবে। সব ঠিক থাকলে এ মাসেই এসব সুবিধাভোগী প্রধানমন্ত্রীর উপহার স্বপ্নের নীড়ে পরিবার নিয়ে উঠতে পারবেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমান জানান, ঘোড়াঘাট উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৫৬৭টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এসব ঘর করতে সব মিলিয়ে খরচ হচ্ছে ৯ কোটি ৬৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। এ টাকায় তাদের জন্য ২০ ফুট বাই ২২ ফুট প্রস্থের ঘরে রয়েছে ২টি কক্ষ, ১টি রান্নঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা।

সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী): প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প 'সবার জন্য বাসস্থান' -এর কাজ পরিদর্শন করেছেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খান। শনিবার ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ধাপে সোনাইমুড়ী উপজেলার ২২০ জন গৃহহীনকে দুই শতাংশ জমি ও একটি করে পাকা ঘর প্রদানের লক্ষ্যে উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের কেগনা ও বজরা ইউনিয়নে বদরপুর বঙ্গবন্ধু ভিলেজ পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টিনা পাল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অঙ্গজায় মারমা, কানুনগো শুভ্রত দেওয়ান ও সার্ভেয়ার আলী আহম্মেদসহ ভূমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে