ইরি-বোরো রোপণে ব্যস্ত কিশোরগঞ্জের কৃষক

প্রকাশ | ২১ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা। এবার আমন মৌসুমে ধানের ন্যায্যমূল পেয়েছেন তারা। তাই এবারও অধিক লাভের আশায় পুরোউদ্যমে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ক্ষুদ্র-প্রান্তিক কৃষক ইরি-বোরো চারা রোপণ করছেন। ঘনকুয়াশা, হিমেল হাওয়া, কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চারা রোপণ কাজে ব্যস্ত সময় কাটছে তাদের। চলতি বছর স্থানীয় কৃষক-কৃষানি ইরি-বোরো চাষাবাদে পুরনো পদ্ধতির পরিবর্তে রশি টেনে সারিবদ্ধ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করছেন। কৃষি অফিসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ পদ্ধতিতে ইরি-বোরো চারা রোপণ করছেন তারা। বুধবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিদু্যৎচালিত সেচ পাম্প, ডিজেল ইঞ্জিন (শ্যালো মেশিন) দিয়ে সেচ সরবরাহের মাধ্যমে জমিতে হালচাষ, মই টেনে জমি সমান করা, সার প্রয়োগ, সেচ প্রদান, বীজতলা থেকে চারা তোলা, আবার অনেকে অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়ে চারা রোপণ করছেন। এদিকে চাষিরা যেন সঠিকভাবে চাষাবাদ ও ফসলের পরিচর্যা করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে তৃণমূল পর্যায়ে কৃষি উপ-সহকারী অফিসার মাঠে গিয়ে সার্বিক পরামর্শ দিচ্ছেন। কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার শীতে বীজতলার তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। তাই সংকট এড়িয়ে এবার স্বস্তিতে চারা রোপণ করতে পারছেন তারা। এবার উপজেলায় উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড ও স্থানীয় জাতের ধান রোপণ করা হচ্ছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের রাজিব গ্রামের মোবারক আলী, গাড়াগ্রামের দিপু বাবু ও নিতাই ইউনিয়নের কৃষক মকবুল হোসেন জানান, অধিকাংশ জমিতে চারা রোপণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বোরো ধানের বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে বলে তারা আশাবাদী। কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, চলতি বছর ১১ হাজার একশত হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় অল্পসময়ে কৃষকরা জমিতে চাষাবাদ করছেন। ধান তোলা পর্যন্ত কৃষিসেবা অব্যাহত থাকবে।