শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

খুলনায় পুনরায় বিআরটিসির দ্বিতল বাস চালুর দাবি

আতিয়ার রহমান, খুলনা
  ২১ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

বিভাগীয় শহর খুলনায় জনবসতি বাড়ার সাথে সাথে পালস্না দিয়ে বেড়েছে গণপরিবহণ সংকটও। মহানগর ও জেলা-উপজেলাগুলোতে ইজিবাইক, মাহেন্দ্র ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায়, দুর্ঘটনা ও যানজটে অতিষ্ঠ নগরবাসী।

শিক্ষার্থী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও নিম্নআয়ের মানুষ গণপরিবহণ সংকট নিরসণে পুনরায় বিআরটিসির দ্বিতল বাস সার্ভিস চালুর দাবি জানিয়েছেন।

সূত্র মতে, মহানগরীতে কেসিসির এক হাজার ২১৫টি সড়ক রয়েছে। যার মোট দৈর্ঘ্য ৬৪০ কিলোমিটার। এক সময় নগরীর রূপসা ঘাট থেকে ফুলতলা পর্যন্ত ৪০টি বাস চলাচল করত।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিএল কলেজের শিক্ষার্থীসহ শহরের অধিকাংশ মানুষ এসব নগর পরিবহণেই যাতায়াত করতেন। তবে দীর্ঘদিন মেরামত না করায় ক্রমেই সেবার মান নিম্নমুখী হয়ে যায়।

গণপরিবহণ সংকট নিরসনে ২০১৬ সালের ১০ জুন পাঁচটি দ্বিতল বাস সার্ভিসের উদ্বোধন করেন খুলনার তৎকালীন সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, বিভাগীয় কমিশনার আবদুস সামাদ, জেলা প্রশাসক মো. নাজমুল আহসান ও জেলা পরিষদের প্রশাসক (চেয়ারম্যান) শেখ হারুনুর রশীদ। সম্ভাবনা থাকলেও অল্প সময়েই বন্ধ হয়ে যায় রাষ্ট্রীয় এ পরিবহণ সার্ভিসটি।

একাধিক সূত্র জানায়, নগর পরিবহণ মালিকদের বিরোধিতার কারণে টিকে থাকতে পারেনি রাষ্ট্রায়ত্ত এ পরিবহণ সেবাটি। এরপর নগর পরিবহণও নিয়মিত চলাচল না করায় বিপাকে পড়েন স্বল্প আয়ের মানুষ ও শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে বিভাগীয় শহর খুলনার কয়েকটি পয়েন্টে নির্দিষ্ট সময়ে যানজট নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অগণিত ইজিবাইক, অতুল-মাহেন্দ্র, সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে পায়েচালিত রিকশাও। ব্যক্তিমালিকানায় পরিচালিত নগর পরিবহণ ছিল খুলনা মোটর বাস মালিক সমিতির নিয়ন্ত্রণে। তবে তারাও দায় নিতে নারাজ।

সমিতির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, নগর পরিবহণগুলোতে দিন দিন যাত্রী কমতে থাকায় অনেক মালিকই তাদের গাড়ি উঠিয়ে নিয়েছে। এছাড়া জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি ও আনুষঙ্গিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় পরিবহণ গুটিয়ে নিতে এক ধরনের বাধ্য হয়েছেন মালিকরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে