বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র

সংশয়ে তৃতীয় ইউনিটের ভবিষ্যৎ

প্রকাশ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) সংবাদদাতা
জ¦ালানি উৎস ছাড়াই প্রকল্প তৈরি করায় ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে পড়েছে ২৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নিমির্ত দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটের। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কয়লা দিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিট চালু থাকলেও তৃতীয় ইউনিটের কয়লার (জ¦ালানি) জোগান নেই। এমন কি বাইর থেকে কয়লা আমদানি করে চালু রাখাও এক প্রকার অসম্ভব। এতে করে ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে পড়েছে সদ্যনিমির্ত তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াটের তৃতীয় ইউনিটটির। জানা গেছে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিট চালু রাখতে প্রতিদিন ৫২০০ মেট্রিকটন কয়লা প্রয়োজন, সেখানে কয়লা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে প্রতিদিন কয়লা উৎপাদন হচ্ছে মাত্র তিন হাজার মেট্রিকটন। তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রয়োজনীয় বাকি ২২০০ মেট্রিকটন কয়লার কোন উৎস্য নেই। বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে ১৯৯৮ সালে কয়লাভিত্তিক বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিমার্ণ কাজ শুরু হয়, সেখানে কয়লা খনির সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে ১২৫ মেগাওয়াট করে প্রথম ও দ্বিতীয় দুটি ইউনিট নিমার্ণ করা হয়। দুই ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ১৫০ থেকে ১৮০ মেগাওয়াট, যা দিয়ে উত্তরাঞ্চলের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানো যেত না। এই কারণে উত্তরাঞ্চলের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানোর জন্য ২০১৫ সালে ২৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৭৫ মেগওয়াটের তৃতীয় ইউনিট নিমার্ণ করা হয়। কিন্তু বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে উত্তোলিত কয়লা দিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিটের জ¦ালানি সরবরাহ করা গেলেও তৃতীয় ইউনিটের জ¦ালানি সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না, ফলে জ¦ালানির অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সদ্যনিমির্ত এই তৃতীয় ইউনিটটি। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফজলুর রহমান বলেছেন, কয়লা ফেজ পরিবতের্নর জন্য বছরে তিন মাস কয়লা উত্তোলন বন্ধ থাকে, ফলে খনি থেকে উত্তোলনকৃত কয়লা দিয়ে, বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের কয়লা সরবরাহ করা কোনোভাবে সম্ভব নয়। এই বিষযে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হাকিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সরকার যেহেতু প্রকল্প করেছে সেটি চালাবার জন্য সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, তবে কয়লা আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।