জনপ্রিয় হয়ে উঠছে আলোক ফঁাদ

প্রকাশ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

দুপচঁাচিয়া (বগুড়া) সংবাদদাতা
আলোক ফঁাদে পোকা শনাক্ত করছেন কৃষি কমর্কতার্রা Ñযাযাদি
বগুড়ার দুপচঁাচিয়া উপজেলায় রোপা আমন ধানের পোকা শনাক্তকরণে ও দমনে ক্ষেতের পাশে আলোক ফঁাদ স্থাপন করা হচ্ছে। উপজেলার বেড়াগ্রাম, দেবখÐ, জলঙ্গী, চেঙ্গা ও কেউতসহ বিভিন্ন এলাকার মাঠে স্থাপন করা হয়েছে এ আলোক ফঁাদ। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার দুপচঁাচিয়ায় ১২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। রোগবালাই ও পোকা মাকড় থেকে আমন ধানের ক্ষেত রক্ষায় ইতিমধ্যে সাতটি স্থানে আলোক ফঁাদ স্থাপন করা হয়েছে। পযার্য়ক্রমে পুরো সেপ্টেম্বর মাস পযর্ন্ত উপজেলার বিভিন্ন বøকে এ আলোক ফঁাদ স্থপন করা হবে। উপজেলার জলঙ্গী গ্রামের কৃষক বাসুদে চন্দ্র জানান, পোকা মাকড় দমনে আলোক ফঁাদ পদ্ধতিটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ পদ্ধতিতে ক্ষেতের পাশে অন্ধকারে আলো বা বাতি জ্বালানো হয়। বাতি জ্বালালে পোকামাকড় সে দিকে আকৃষ্ট হয়। আলোর নিচে গামলা বা বালতিতে সাবানের ফেনা মিশ্রিত পানি রাখা হয়। আলোর দিকে ছুটে আসা পোকামাকড় গামলার ফেনা মিশ্রিত পানিতে পড়লে আর উঠতে পারে না। এ থেকে ধানের ক্ষতিকর পোকা শনাক্ত করা হয়। পরে ওই সব পোকামাকড় শনাক্ত করে তা থেকে ধান ক্ষেত কিভাবে রক্ষা করা যায় সে ব্যাপারে কৃষি বিভাগ কৃষকদের পরামশর্ দিয়ে থাকেন। উপজেলা কৃষি কমর্কতার্ কৃষিবিদ মোস্তফা কামাল হোসেন বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আলোক ফঁাদ স্থাপন করে তা থেকে ক্ষতিকর পোকামাকড় চিহ্নিতকরণসহ পোকা দমনে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামশর্ প্রদান করা হচ্ছে। কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে আলোক ফঁাদে পোকা দমনে ব্যবস্থা গ্রহণ পদ্ধতিটি কৃষকের মাঝে বেশ সাড়া জাগিয়েছে। এ পদ্ধতিটি ব্যবহার করলে একদিকে যেমন খরচ কম হবে অপরদিকে কৃষকরা লাভবান হবেন।