প্রধানমন্ত্রীর উপহার ৩৫৪৫ ঘর পাচ্ছেন গৃহহীনরা

মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে অসহায় পরিবারের কাছে ঘর হস্তান্তর কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সেই অনুযায়ী কিশোরগঞ্জের ১৩ রংপুরের ৮ উপজেলাসহ ৪৩ উপজেলায় ৩৫৪৫ ঘরের চাবি হস্তান্তর হচ্ছে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের কাছে। নতুন পাকা ঘর ও ভূমি বরাদ্দ পেয়ে উচ্ছ্বসিত ওইসব পরিবার। তাদের হৃদয় মথিত অভিব্যক্তি- 'এতো বড় প্রাপ্তি ভুলব না কোনোদিন'। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে ডেস্ক রিপোর্ট :

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
চাঁদপুরে জমি এবং গৃহ প্রদান বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ -যাযাদি
চাঁদপুর জেলায় ঘর পাবে ১১৫ পরিবার চাঁদপুর : চাঁদপুরে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি এবং গৃহ প্রদান বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। তিনি বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মতে এদেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না। তারই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় চাঁদপুর জেলায় ১১৫টি ঘর প্রদান করা হবে। তারমধ্যে চাঁদপুর সদরে ৪০টি, মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ২৫টি, মতলব উত্তর উপজেলায় ৫টি, কচুয়া উপজেলায় ১৫টি, শাহরাস্তি উপজেলায় ৫টি, হাজীগঞ্জ উপজেলায় ৫টি ও হাইমচর উপজেলায় ২০টি ঘরের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) অসীম চন্দ্র বণিকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, রহিম বাদশা, গোলাম কিবরিয়া জিবন, কাজী শাহাদাত, গিয়াস উদ্দিন মিলন, সোহেল রুশদী, এমএ লতিফ, কেএম মাসুদ ও তালহা যুবায়ের প্রমুখ। কক্সবাজারে ৩০৩ গৃহহীন পরিবারে নতুন বাড়ি কক্সবাজার : মুজিববর্ষে কক্সবাজার জেলায় ৮৬৫ জন গৃহহীন পাচ্ছেন নতুন বাড়ি। তবে এদের মধ্যে থেকে আগামীকাল শনিবার ৩০৩ জন উপকারভোগীর মাঝে নতুন বাড়ি হস্তান্তর করা হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসন আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, কক্সবাজার সদর উপজেলায় ১ম ও ২য় ধাপে মোট ৯৬টি ঘরের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে নির্মিত হয়েছে ২০টি। চকরিয়া উপজেলায় ১৮০টি বরাদ্দের বিপরীতে ৮০টি ঘরের নির্মাণকাজ, পেকুয়া উপজেলায় ৪৫টি বরাদ্দের বিপরীতে ১৪টি, রামু উপজেলায় ১৭৫টি বরাদ্দের বিপরীতে ৬০টি, মহেশখালী উপজেলায় ২০টি বরাদ্দের বিপরীতে ২০টি, উখিয়া উপজেলায় ১০০টি বরাদ্দের বিপরীতে ৩৫টি, টেকনাফ উপজেলায় ২২৯টি বরাদ্দের বিপরীতে ৬০টি এবং কুতুবদিয়া উপজেলায় ২০টি বরাদ্দের বিপরীতে ১৪টি ঘরের নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন-অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আমিন আল পারভেজ, কক্সবাজার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল, উখিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান হামিদুল হক চৌধুরী, মহেশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান শরীফ বাদশা। বাজিতপুর ও নিকলীতে ঘর পাবে ৫৫টি পরিবার বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) : বাজিতপুর ও নিকলীর উপজেলা প্রশাসন। এই দুটি প্রকল্পের মধ্যে বাজিতপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অতিদরিদ্র ও বাস্তুহারা মানুষকে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ৪০টি ঘর ও নিকলী উপজেলায় ১৫টি ঘর চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এই দুটি প্রকল্পের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উপসচিব সরেজমিন এসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও মাঠপর্যায়ে দেখে গেছেন। এই দুটি প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী শনিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন বলে উপজেলা অফিস সূত্রে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে দিঘীরপাড় চরাবাদা আশ্রয়ন প্রকল্পে গেলে বাস্তুহারা পরিবারের মধ্যে অনুফা, শারজাহান বেগম, সুভ্রত ঋষি দাস, মোমেনা আক্তার, নূরু মিয়া, মো. মাসুম মিয়া, জাকির হোসেন, ময়না আক্তার, স্বপ্না আক্তার, রহমত আলীসহ এই প্রকল্পের বাস্তুহারা ৪০টি পরিবারের সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানান, আগে তারা কেউ বা ভিক্ষাবৃত্তি, অন্যের বাড়িতে কাজ, কেউ আবার মাটির কাজ করে খুব কষ্টে দিনযাপন করেছেন। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে ৭০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে ও নিকলীতে এই প্রকল্প ব্যয় হয়েছে লাখ লাখ টাকা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিপ্তীময়ী জামান, সহকারী কমিশনার ভূমি আল মামুন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম তালুকদার, দিঘীরপাড় ইউপি চেয়্যারম্যান আবদুল হান্নান, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের কার্য সহকারী আবদুল গনি। মেহেরপুরে ২৮ পরিবার পাচ্ছে দুর্যোগ সহনীয় ঘর ও জমি মেহেরপুর প্রতিনিধি : মেহেরপুরে গৃহহীন হতদরিদ্র ও অসচ্ছল ২৮ পরিবার পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া 'দুর্যোগ সহনীয় ঘর ও জমি। আগামীকাল শনিবার সকাল সোয়া ১০টায় সারাদেশে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঘর বিতরণের উদ্বোধন করবেন। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এক প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম জানান, দুর্যোগব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় উদ্যোগে মেহেরপুর সদরে ১৬, গাংনীতে ৮ ও মুজিবনগরে ৪টি 'দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবার জন্য বাসস্থান নিশ্চিতকরণ কর্মসূচির আওতায় ওই ঘরগুলোর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। কিশোরগঞ্জে ১১ উপজেলায় ঘর পেল ৫৪৩ পরিবার কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জ জেলায় ৬১৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদানের লক্ষ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সভাপতি করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। ২৩ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে গৃহহীনদের হাতে দলিল, নামজারি, গৃহ প্রদান সনদ, ডিসিআর কপিসহ চাবি হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই ধারাবাহিকতায় কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ১০, হোসেনপুর উপজেলায় ২৯, কটিয়াদী উপজেলায় ৫৯, পাকুন্দিয়া উপজেলায় ৫১, করিমগঞ্জ উপজেলায় ৩১, তাড়াইল উপজেলায় ৫০, ইটনা উপজেলায় ১৯৯, মিঠামইন উপজেলায় ৯, অষ্টগ্রাম উপজেলায় ৩৭, কুলিয়ারচর উপজেলায় ২৯, ভৈরব উপজেলায় ৩৯টি গৃহ হস্তান্তর করা হবে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, এসব ঘর গৃহহীনের মধ্যে বাছাইকৃতভাবে তাদের প্রথমেই ভিজিএফ কার্ড প্রদান ও ক্ষুদ্রঋণ দিয়ে স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করা হয়। পোরশায় বাড়ি পাচ্ছেন ৫৪ গৃহহীন পরিবার পোরশা (নওগাঁ): পোরশায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছেন ৫৪টি বসতবাড়ি। উপজেলা প্রশাসনের পরিচালনায় ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে বাড়িগুলোর নির্মাণকাজ। ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত বাড়িগুলোতে থাকছে দুটি শয়নকক্ষ, একটি টয়লেট, রান্নাঘর, কমনস্পেস ও একটি বারান্দা। প্রত্যেক পরিবারের জন্য আলাদা করে নির্মাণ করা হয়েছে এসব বাড়ি। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দোস্তদার হোসেন জানান, উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নে-৬টি, গাঙ্গুরিয়ায়-১০টি, হাওড়ে ১৪টি, মশিদপুরে ১৪টি ও ঘাটনগরে ১০টি বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, নির্মাণকাজ সার্বক্ষণিক তদারকি করেছে উপজেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান ও সচিব মো. মোহসীন নির্মাণকৃত বাড়িগুলো পরিদর্শন করেছেন এবং নির্মাণকাজ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হামিদ রেজা জানান, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপির দিকনির্দেশনায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে এ উপজেলার ১২ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও ১০ ভিক্ষুকসহ ৫৪ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দেওয়ার জন্য বাড়িগুলো নির্মাণ করা হয়। কানাইঘাটে প্রস্তুত ১৯৩ পরিবারের ঘর কানাইঘাট (সিলেট): কানাইঘাট উপজেলার ১৯৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য ঘর সম্পন্ন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উদ্বোধনের দিন সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল ইসলামের উপস্থিতিতে উপকারভোগী ১৯৩টি পরিবারের সদস্যদের ঘর ও দুই শতক জমি বুঝিয়ে দেবে উপজেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জির সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে ১৯৩টি ঘর টেকসই ও কোনো ধরনের অব্যবস্থাপনা ছাড়াই অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে উপজেলার লক্ষ্ণীপ্রসাদ পশ্চিম, লক্ষ্ণীপ্রসাদ পূর্ব, কানাইঘাট সদর ও ৩নং দীঘিরপাড় ইউনিয়নে নির্মাণ করা হয়। যেখানে ঘরগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানে তাৎক্ষণিক বিদু্যৎ প্রদান এবং বিশুদ্ধ পানি ব্যবহারের জন্য ডিপ-টিউবওয়েল বসানো হয়েছে। সমাজে একেবারে ভূমিহীন ১৯৩ পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহারস্বরূপ ঘরসহ বাসস্থান পেয়ে আবেগাপস্নুত হয়ে পড়েন। তারা বলেন, 'আমাদের ছিল না কোনো বাড়ি-ঘর জমিজমা। প্রধানমন্ত্রী আমাদের জমি ও ঘর দিচ্ছেন এত বড় প্রাপ্তি আমরা কখনো ভুলব না। ফুলবাড়ীতে নতুন ঠিকানায় ৭৬৯টি ভূমিহীন পরিবার ফুলবাড়ী (দিনাজপুর): দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ৭৬৯টি ভূমিহীন পরিবারকে দুই শতক জায়গাসহ নতুন বাড়ি দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ৪০০টি বাড়ির নির্মাণকাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। বাকি ৩৬৯টি বাড়ির নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। নির্মাণকাজ শেষ হলেই সেগুলো হস্তান্তর করা হবে। বৃহস্পতিবার উপজেলা সভাকক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিয়াজ উদ্দিন। প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিল্টন। সহকারী কমিশনার ভূমি কানিজ আফরোজ, উপজেলা প্রকৌশলী রায়হান সরকার ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিয়াজ উদ্দিন বলেন, রংপুর বিভাগের মধ্যে সব থেকে বেশি এই উপজেলায়। রংপুরে গৃহহীনদের কাছে হস্তান্তর হচ্ছে ১২৭৩টি ঘর রংপুর : রংপুরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে এক হাজার ২৭৩টি ঘর ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে হস্তান্তর করা হচ্ছে। জেলার আট উপজেলা হচ্ছে রংপুর সদর, গংগাচড়া, কাউনিয়া, পীরগাছা, তারাগঞ্জ, বদরগঞ্জ, মিঠাপুকুর ও পীরগঞ্জ। ২১ কোটি ৭৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা ব্যয়ে এই গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান। সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক জানান, জেলার আট উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ২৮৮টি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে হস্তান্তরের জন্য ৯৮৫টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি জানান, স্বচ্ছতার সঙ্গে এসব ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। যারা প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন ইতোমধ্যে তাদের বাছাই করা হয়েছে। ঘর নির্মাণের সময় সম্মিলিতভাবে এসব কাজের তদারকি করা হয়েছে। এখানে দুর্নীতির কোনো সুযোগ নেই। সরবরাহকৃত ঘরের মধ্যে রংপুর সদরে ৫০, গংগাচড়ায় ১০০, কাউনিয়ায় ১২০, পীরগাছায় ২২০, তারাগঞ্জে ২০০, বদরগঞ্জে ২৮৬, মিঠাপুকুরে ১৯৭ এবং পীরগঞ্জ উপজেলায় ১০০টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আদমদীঘির ১০০ পরিবার পাচ্ছেন স্বপ্নের বাড়ি আদমদীঘি (বগুড়া): বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গৃহহীন ১০০টি পরিবার পাচ্ছেন মাথা গোঁজার ঠঁাঁই। ইতোমধ্যে চারদিকে ইটের দেওয়াল ও লাল সবুজ রঙের টিনের ছাউনি দিয়ে গৃহনির্মাণ প্রায় শেষ হয়েছে। আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সীমা শারমিন জানান, আদমদীঘি উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে সরকারিভাবে প্রতিটি বাড়ি ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মধ্যে ১০০টি ইটের দেওয়াল ও রঙিন টিনের ছাউনি দিয়ে সেমিপাকা বসতবাড়ি নির্মাণ প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে। এর মধ্যে আদমদীঘি ইউনিয়নের ডালম্বা ৯টি বাড়ি, সান্তাহার ইউনিয়নের ছাতনী ১৪টি বাড়ি, ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নে ১০টি বাড়ি, চাঁপাপুর ইউনিয়নের বনতইর গ্রামে ৬০টি বাড়ি ও কুন্দগ্রাম ইউনিয়নে ৭টি বাড়ি রয়েছে। এই উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ১০০টি সেমি পাকাঘর বা বাড়ি পাচ্ছেন গৃহহীন পরিবার। রাজস্থলীতে হস্তান্তরের অপেক্ষায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬২ ঘর রাজস্থলী (রাঙামাটি): রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে ৬২ পরিবারের হাতে আগামী ২৩ জানুয়ারী শনিবার প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঘরগুলো হস্তান্তর করা হবে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টায় রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ ছাদেখ সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাজস্থলীতে আশ্রয়ন প্রকল্প এবং গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের আওতায় ১৯০টি ঘরের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তার মধ্যে ৬২ ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ২৩ জানুয়ারি সকাল ১০.৩০ টায় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে উপকারভোগীদের হাতে হোল্ডার এবং সার্টিফিকেট প্রদানের মাধ্যমে ঘরগুলো স্থানান্তর করা হবে। তিনি আরও বলেন, বাকি ১২৮টি ঘরের কাজ শুরু হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম ও অফিস সহকারী ফিরোজ আহম্মেদ। মাথা গোঁজার ঠাঁই কেন্দুয়ার ৫০ ভূমিহীন পরিবারের কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রম্নতি প্রতিটি ঘরহীন মানুষকে ঘর তৈরি করে দেওয়ার পুরোপুরি প্রস্তুত হয়েছে। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাচ্ছেন ৫০ জন গৃহহীন পরিবার। সবকিছু ঠিক থাকলে ২৩ জানুয়ারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জানা যায়, নেত্রকোনা জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে সহকারী কমিশনার (ভূমি) খবিরুল আহসান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদি হাসান মৃধা, উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হাসানের কঠোর তদারকিতে নির্মাণকাজের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে। এদিকে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের স্বপ্ন অতিদ্রম্নত বাস্তবে পরিণত করতে নির্মাণকাজ নিয়মিত পরিদর্শন করে কাজের গুণগতমান দেখভাল করছেন কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মইনউদ্দিন খন্দকার। ইতোপূর্বে গত ২৪ নভেম্বর স্থানীয় সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের সান্দিকোনা গ্রামের গৃহনির্মাণকাজের উদ্বোধনের মাধ্যমে গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। কেন্দুয়া উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ৫০ জন উপকারভোগীর মধ্যে ৪০ জন ভূমিহীনকে খাস জমি বন্দোবস্তের মাধ্যমে এবং বাকি ১০ জন ভূমিহীনকে আত্মীয় কিংবা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তির দান করা জমির মধ্যে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে।