শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পাঁচ জেলায় রেকর্ড চায়ের উৎপাদন

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
  ২৫ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

কোভিড পরিস্থিতিতেও এ বছর চা উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছে। গত বছর ব্যাপক চা উৎপাদনের পর চট্টগ্রাম অঞ্চলকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে আসে পঞ্চগড়সহ উত্তরের চা অঞ্চল। সিলেট অঞ্চলের পরই এখন এই অঞ্চলের চায়ের অবস্থান। গত বছর পঞ্চগড়সহ উত্তরের পাঁচ জেলায় রেকর্ড পরিমাণ এক কোটি তিন লাখ বা ১০ দশমিক ৩০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। যা দেশীয় মোট উৎপাদনের ১১ দশমিক ৯২ শতাংশ।

রোববার সকালে পঞ্চগড় আঞ্চলিক চা বোর্ডের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও নর্দান বাংলাদেশ প্রকল্পের পরিচালক ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুন এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলার ১০টি নিবন্ধিত ও ১৭টি অনিবন্ধিত চা বাগান, সাত হাজার ৩১০টি ক্ষুদ্রায়তন চা বাগানে (নিবন্ধিত ১,৫১০টি) মোট ১০ হাজার ১৭০ দশমিক ৫৭ একর জমিতে চা চাষ হয়েছে। এসব চা বাগান থেকে ২০২০ সালে পাঁচ কোটি ১২ লাখ ৮৩ হাজার ৩৮৬ কেজি সবুজ চা পাতা উত্তোলন করা হয়েছে। যা থেকে পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওয়ের ১৮টি চলমান চা কারখানায় এক কোটি তিন লাখ কেজি চা উৎপন্ন হয়েছে। এর আগের বছরের তুলনায় ২০২০ সালে এক হাজার ৪৮৯ দশমিক ৮৯ একর চা আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে ও সাত দশমিক ১১ লাখ কেজি চা বেশি উৎপন্ন হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ চা বোর্ড পঞ্চগড় আঞ্চলিক অফিসের উন্নয়ন কর্মকর্তা আমির হোসেন, ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুরের খামার তত্ত্বাবধায়ক ছায়েদুল হক, বাংলাদেশ স্মল টি গার্ডেন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুল হক খোকন, চা চাষি ও সাজেদা-রফিক চা কারখানারা মালিক আলহাজ জাহেদুল হক, চা চাষি মতিয়ার রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সংবাদ সম্মেলন চা বোর্ডের কর্মকর্তা, চা চাষি, চা কারখানার কর্তৃপক্ষসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে