শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

গড়াই নদীর ভাঙনে বিলীন অসংখ্য বাড়ি-ঘর

জুলফিকার আলী, শ্রীপুর (মাগুরা)
  ২৬ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

গড়াই নদীর অব্যাহত ভাঙনে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার চারটি ইউনিয়নের অসংখ্য আবাদি জমি ও ঘর-বাড়ি নদীতে বিলীন হতে চলেছে। ফলে নদী তীরবর্তী এলাকার লোকজন চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন।

ভাঙনকবলিত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বর্ষা মৌসুমের প্রবল বর্ষণ ও তীব্র স্রোত এবং বর্ষার পানি নামার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় তীব্র নদী ভাঙন। অব্যাহত ভাঙনের ফলে নদী পাড়ের অসংখ্য জমি ও ঘর-বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। সর্বস্ব হারিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে কয়েকশ পরিবার।

বিশেষ করে আমলসার ইউনিয়নের বদনপুর, আমলসার ও টিকারবিলা, দ্বারিয়াপুর ইউনিয়নের চরচৌগাছি, ঘসিয়াল ও গঙ্গারামখালী এবং কাদিরপাড়া ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রাম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদী তীরবর্তী বেড়িবাঁধটিও ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে পড়েছে।

চরচৌগাছি গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা রোস্তম আলী বলেন, চরচৌগাছি ও ঘসিয়াল গ্রামের প্রায় ৫০০ একর জমি এবং অসংখ্য বাড়ি-ঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে, অনেক পরিবার সরকারি খালের পাশে আশ্রয় নিয়েছে। মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এবং পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও তার সুফল এখন পর্যন্ত তারা পাননি।

দ্বারিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন কানন জানান, ভাঙনকবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সরকারিভাবে সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এসব এলাকা পরিদর্শন করেছেন। দ্রম্নতই এর সমাধান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারোয়ার জাহান সুজন জানান, বিষয়টি তাদের নজরে আছে। বর্ষা মৌসুমে দুর্গত এলাকায় জিও ব্যাগও ফেলা হয়েছে। বিষয়টির সমাধানের জন্য ২০টি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে বরাদ্দ চেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সরকারি বরাদ্দ পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে