রংপুর ও কুষ্টিয়ায় তিন লাশ উদ্ধার

আদমদীঘিতে পারিবারিক কলহে ছাত্রের আত্মহত্যা

প্রকাশ | ২৬ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
বগুড়ার আদমদীঘিতে পারিবারিক কলহের জেরে স্কুলছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে পৃথক ঘটনায় রংপুর ও কুষ্টিয়ায় তিন লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর: আদমদীঘি (বগুড়া): বগুড়ার আদমদীঘিতে ৯ম শ্রেণির ছাত্র ইউসুফ আলী (১৭) গলায় ওড়নার ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ইউসুফ আলী আদমদীঘির ছাতিয়ানগ্রাম ইউপির কোমারভোগ গ্রামের রিকশাচালক আলম হোসেনের ছেলে। সোমবার বেলা ১১টায় তাদের বাড়িতে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, কৈকুড়ি উচ্চবিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির স্কুলছাত্র ইউসুফ আলীকে লেখাপড়া করার জন্য বাড়িতে রেখে তার বাবা ঢাকায় রিকশা চালান। সোমবার সকালে পারিবারিক কলহের কারণে স্কুলছাত্র ইউসুফ আলী শয়নঘরের বাঁশের তীরের সঙ্গে গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ জালাল উদ্দীন জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়। রংপুর: রংপুরে সোনালী রানী (২৫) নামে কারমাইকেল কলেজের এক ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে নগরীর লালবাগ কেডিসি রোডের মিতা কুঞ্জ নামে ছাত্রীনিবাস থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সোনালী জয়পুরহাটের কালাই থানাধীন বলিঘাম মাত্রাই গ্রামের সুভাস চন্দ্রের মেয়ে এবং কারমাইকেল কলেজ ইংরেজি বিভাগের অনার্স চতুর্থবর্ষের ছাত্রী। এবার ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিলেন তিনি। নিহত সোনালীর বাবা সুভাষ চন্দ্র সাংবাদিকদের জানান, তার তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে সবার ছোট সোনালী। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা নিয়ে সে ভীষণ চিন্তিত ছিল। রোববার তিনি ছাত্রীনিবাসে গিয়ে মেয়ের সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি বলেন, সোমবার ছাত্রীনিবাস মালিকের মাধ্যমে মেয়ের মৃতু্যর খবরটি জানতে পারেন। পরীক্ষা ভালো না হওয়ায় হতাশা থেকে সোনালী আত্মহত্যা করতে পারে বলে তার ধারণা। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রবিউল ইসলাম জানান, রাতে মেয়েটি তার রুমে একা ছিল। সোমবার সকালে ভাত দেওয়ার জন্য ছাত্রীনিবাসের বুয়া ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে অন্যদের জানান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানোর হয়েছে বলে তিনি জানান। কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ায় পৃথক ঘটনায় আমিরুল ইসলাম ও ক্যারাই বিশ্বাস নামে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে কুষ্টিয়া সদর ও কুমারখালী উপজেলা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার সকালে কুমারখালী উপজেলার ভড়ুয়াপাড়া মাঠের শস্যক্ষেতে আমিরুল ইসলাম সবুর (৪৫) নামে এক কৃষকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে কুমারখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। রোববার রাতে আমিরুল বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরেনি। শরীরে আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও মৃতু্যর কারণ অনুসন্ধান করছে পুলিশ। এদিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সুগার মিল এলাকার মরাগড়াই খাল থেকে ক্যারাই বিশ্বাস (৫০) নামে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ক্যারাই বিশ্বাসের বাড়ি কুষ্টিয়া সুগার মিল এলাকার কাটাজুলাপাড়ায়। পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।