অফিস আঙিনায় ফলের বাগান

প্রকাশ | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

সবুজ শমার্ শাকিল, সীতাকুÐ
ফলের বাগানে নুরুল আহসান
‘ইচ্ছা থাকিলে উপায় হয়’ এ প্রবাদটিকে আবারও সত্য প্রমাণিত করলেন সীতাকুÐ তহশিল অফিসের ভূমি সহকারী কমর্কতার্ নুরুল আহসান। তিনি তহশিল অফিসের আঙিনার পরিত্যক্ত জায়গায় গড়ে তুলেছেন ফলের বাগান। তার অদম্য স্পৃহার ফলে গড়ে তোলা ফলের বাগানের সৌন্দযর্ চমকে দিয়েছে সবাইকে। অফিসের কমর্ ব্যস্ততার ফঁাকে বাগানের গাছের পরিচযার্য় তার কঠোর পরিশ্রম ও আন্তরিকতায় ইতোমধ্যে ফল ও ফুলে ভরে গেছে পেঁপে গাছ। বাগানে ফুলে, ফলে ভরে ওঠা পেঁপের হাসি শুধু তাকেই অনুপ্রাণিত করেনি, অনুপ্রাণিত করেছে উপজেলার সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন অফিসের কমর্কতার্-কমর্চারী, ভূমিকর পরিশোধে আগত মানুষজন ও কৃষি বিভাগকে। তার অফিস আঙিনায় ফলের বাগান গড়ে তোলার এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগ উপজেলার কৃষিকে আরও একধাপ এগিয়ে দিয়েছে বলে অভিমত সংশ্লিষ্টদের। আলাপকালে বৃক্ষপ্রেমী ভূমি সহকারী কমর্কতার্ মো. নুরুল আহসান বলেন, সীতাকÐ সদরের তহশিল অফিসের নতুন ভবন উদ্বোধনের পর অফিসের বাইরে বেশকিছু জায়গা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। কৃষিতে অবদান রাখার তীব্র বাসনা থেকেই অফিস আঙিনার বাইরের পরিত্যক্ত জায়গায় বাগান গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেন। মে মাসের শুরুতে পরিত্যক্ত জায়গার আগাছা পরিষ্কারের পর প্রায় উন্নত প্রজাতির ৩০টি পেঁপের চারা, ১০টি উন্নত কলম জাতের আমের চারা, কয়েকটি পেয়ারা, নারিকেল ও কঁাঠালের চারা রোপণ করেন তিনি। শুরুতে পেঁপেসহ বাগানের বেশ কয়েকটি ফলের চারা নষ্ট হয়। এতে সাময়িক মন খারাপ হলেও দ্বিগুণ উৎসাহে শূন্যস্থানে পুনরায় ফলের চারা রোপণ করেন। পাশাপাশি সময়মতো আগাছা পরিষ্কার, পানি সেচ ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সরবরাহে মাস দুয়েকের মধ্যে সবুজের সমারোহে ভরে ওঠে ফলের বাগান। গত ৯ জুলাই চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াছ হোসেন সীতাকুÐ সদর তহশিল অফিস পরিদশর্নকালে অফিস আঙিনায় ফলের বাগান দেখে মুগ্ধ হন। এ সময় তিনি ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগের প্রশংসার পাশাপাশি বাগান অভ্যন্তরে একটি উন্নত কলম জাতের আমের চারা রোপণ করেন। নুরুল আহসান আরও বলেন, বতর্মানে বাগানের বিভিন্ন ফলের গাছের মধ্যে পেঁপের ফলন আসতে শুরু করেছে। বাগানের প্রায় প্রতিটি পেঁপে গাছে মুকুল এসেছে। অধিকাংশ গাছে ঝুলে আছে থোকায় থোকায় পেঁপে ফল। উপজেলার প্রতিটি অফিস কাযার্লয়ের বাইরের পরিত্যক্ত জায়গায় যদি এভাবে বাগান গড়ে তোলা সম্ভব হতো তাহলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি পাওয়া যাবে বিষমুক্ত বিশুদ্ধ ফল। অন্যদিকে সবুজের সমারোহে সৃষ্টি হবে মনোমুগ্ধকর পরিবেশ।