কঁাঠালবাড়ি-শিমুলিয়ায় ফেরি চলাচল ব্যাহত

প্রায় সাত শতাধিক যানবাহন আটকা

প্রকাশ | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

শিবচর (মাদারীপুর) সংবাদদাতা
কঁাঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথে নাব্য সংকট ও তীব্র স্রোতের কারণে বারবার ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রী, চালক ও ব্যবসায়ীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। সোমবার বিকাল ৪টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পযর্ন্ত প্রায় ১৬ ঘণ্টা নাব্য সংকট নিরসনে খননকাজ অব্যাহত থাকায় বন্ধ ছিল সব ফেরি চলাচল। পরে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে পরীক্ষামূলকভাবে কঁাঠালবাড়ী ঘাট থেকে ছেড়ে যায় একটি ছোট ফেরি। একই সময় শিমুলিয়া ঘাট থেকেও একটি ছোট ফেরি ছেড়ে আসে। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে আরও দুটি কে-টাইপ ফেরি যানবাহন পারাপার শুরু করে এবং সকাল ১১টার দিকে আরেকটি ফেরি যানবাহন নিয়ে শিমুলিয়া থেকে কঁাঠালবাড়ী ঘাটের উদ্দেশে রওনা দেয়। বিআইডবিøউটিসির কঁাঠালবাড়ী ঘাট সূত্র জানিয়েছে, নৌপথ এখনো স্বাভাবিক হয়নি। লৌহজং টানির্ং পয়েন্টের চ্যানেলে খননকাজ চলছে। নাব্যতা সংকট নিরসন না হওয়ায় ডাম্প ও রো রো ফেরি চালানো যাচ্ছে না। শুধু পঁাচটি কে-টাইপ ফেরি সকাল থেকে পযার্য়ক্রমে স্বল্প যানবাহন নিয়ে চলাচল করছে। কঁাঠালবাড়ী ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম মিয়া বলেন, সকাল ১১টা থেকে পঁাচটি কে-টাইপ ফেরি এ নৌপথে চলছে। ডাম্প ও রো রো ফেরি চলার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি এখনো। নৌপথ সচল করতে খননকাজ চলছে। গেল দুদিনে পদ্মার শিমুলিয়া অংশে পানি কমেছে প্রায় ৪৫ সেন্টিমিটার। এতে নৌপথের লৌহজং টানির্ং পয়েন্টে দেখা দিয়েছে নাব্য সংকট। কঁাঠালবাড়ি ফেরিঘাটের পুলিশ পরিদশর্ক (টিআই) উত্তম কুমার শমার্ বলেন, নাব্য সংকটের কারণে কঁাঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথে নৌযান চলাচলে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে যাত্রী ও চালকরা। খনন করে পলি অপসারণের চেষ্টা হলেও তীব্র স্রোতের কারণে তা বিঘিœত হচ্ছে। উজানের পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র হচ্ছে নাব্য সংকট। যার বিরূপ প্রভাব পড়েছে নৌচলাচলে। দিনের বেশিরভাগ সময় অধিকাংশ ফেরি পারাপার বন্ধ থাকছে। কখনো কখনো নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকছে সারাবেলাই। ফলে ঘাটে বাড়ছে অপেক্ষায় থাকা গাড়ির সংখ্যা। এদিকে নৌযান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় ঘাটে আটকে কষ্ট পাচ্ছেন চিকিৎসার জন্য ঢাকামুখী রোগীরা। বিপাকে পড়েছে পণ্যবাহী ট্রাকের লোকজনও। পচতে শুরু করেছে মৌসুমি সবজিসহ বিভিন্ন কঁাচাপণ্য। তাই ভোগান্তি এড়াতে বিকল্প রুট ব্যবহারের পরামশর্ দিচ্ছে ঘাট কতৃর্পক্ষ।