পরিত্যক্ত ভবনে অস্তিত্ব সংকটে শায়েস্তাগঞ্জ পশু হাসপাতাল

প্রকাশ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০

শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
ব্রিটিশ আমলে নির্মিত হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পশু হাসপাতাল ভবনটি ভেঙে পড়ে ময়লা-আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন কোনো কার্যক্রম না থাকায় এ দশার সৃষ্টি হয়েছে। ১৯০৩ সালে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তালুগড়াইয়ে প্রায় ২৮ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এ হাসপাতালটির কার্যক্রম বর্তমানে একটি ভাড়া দোকানে চলছে। অথচ এ হাসপাতালে শায়েস্তাগঞ্জ অঞ্চলসহ প্রায় ১০টি চা বাগানের পশু চিকিৎসাসেবা চলে আসছিল। কিন্তু এরশাদ সরকারের আমলে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণে হাসপাতালটির কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। বর্তমানে হাসপাতালটি পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। জানা গেছে, দীর্ঘদিন এ হাসপাতালে একজন এসডিএলও, দুজন ভেটেরিনারি চিকিৎসক ও একজন ভেটেরিনারি সহকারী পশু চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছিলেন। একে একে সবাই চলে গেলে একজন ভেটেরিনারি সহকারীর মাধ্যমে শুধু কৃত্রিম প্রজনন চালু ছিল। তিনিও চলে গেলে পশু চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। শায়েস্তাগঞ্জ ও এর আশপাশের এলাকা এখনো কৃষিপ্রধান অঞ্চল। সেই হিসেবে অনেকের গবাদিপশু রয়েছে। অনেকে বাণিজ্যিকভাবে গবাদিপশু লালন-পালন করছেন। কিন্তু চিকিৎসাসেবা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন পশুর মালিকরা। শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আব্দুর রকিব বলেন, এক সময় বিসিএস ডাক্তার দিয়েই চলত এ হাসপাতালের কার্যক্রম। পাকা ভবনটি অনেক আগেই ভেঙে যায়। এরপর বাঁশের বেড়া ও টিনের চাল দিয়ে তৈরি করা হয় আরেকটি ভবন। কয়েক বছর ঝড়ে সেটিও ভেঙে পড়লে বন্ধ হয়ে যায় পশু চিকিৎসা। এ ব্যাপারে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রমাপদ দে জানান, নতুন হাসপাতালের জন্য জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার মাধ্যমে মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করেছেন। শায়েস্তাগঞ্জ ড্রাইভার বাজারে বেশকিছু জায়গা রয়েছে, সেখানে নতুন ভবন করা যেতে পারে। এ বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, 'সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি দিয়েছেন। নতুন হাসপাতাল নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করতে হয়। তিনি আশাবাদী শিগগিরই অনুমোদন পাবেন।