শাহাদাৎ হত্যা :ঝালকাঠিতে তিনজনের যাবজ্জীবন

ঝালকাঠি শহরের আলোচিত শাহাদাৎ হোসেন হত্যা মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝালকাঠির জেলা ও দায়রা জজ মো. শহিদুলস্নাহ এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরি গ্রামের গিয়াস মলিস্নক (৪৫), কিস্তাকাঠি গ্রামের শাহীন ভূঁইয়া (৩৫) ও মির্জাপুর গ্রামের জয়নাল কাদি (৪৬)। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ছোহরাব হোসেন নামে একজনকে খালাস দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত শাহীন ও জয়নাল আদালতে উপস্থিত থাকলেও গিয়াস মলিস্নক উপস্থিত ছিলেন না। মামলার বিবরণে জানা যায়, পূর্বশত্রম্নতার কারণে ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল ঝালকাঠি শহরের স্টেশন রোডের একটি টিনের দোকানের ম্যানেজার শাহাদাৎ হোসেনকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে লঞ্চঘাট এলাকার জয়নাল কাদিরের বাসায় নিয়ে গলাকেটে হত্যা করে আসামিরা। পরে তার মাথাবিহীন লাশ সুগন্ধা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। ২৩ এপ্রিল দুপুরে নদীতে ভাসমান অবস্থায় শাহাদাতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওইদিন ঝালকাঠি থানার পিএসআই আবদুর রহিম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জয়নাল কাদরীকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচিত হয়। সাজাপ্রাপ্ত গিয়াস মলিস্নকের বাবা দেউরি গ্রামের মোকছেদ আলী মলিস্নককে ১৯৮০ সালে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা। সেই হত্যা মামলায় আসামি ছিলেন শাহাদাৎ হোসেন। ওই মামলায় সকল আসামি খালাশ পায়। বাবাকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে গিয়াস মলিস্নক তার সহযোগীদের নিয়ে শাহাদাৎকে হত্যা করে বলে এজাহারে দাবি করেন। ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শীল মণি চাকমা তদন্ত শেষে ২৮ অক্টোবর ২০১৪ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত ৩৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করেন।