আলুর বাম্পার ফলনে স্বপ্ন দেখছেন চন্দনাইশের চাষিরা

প্রকাশ | ০২ মার্চ ২০২১, ০০:০০

মোহাম্মদ কমরুদ্দিন, চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম)
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চট্টগ্রামের চন্দনাইশে এ বছর আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। আলুর ভালো ফলনে কৃষকদের চোখে-মুখে হাসির দীপ্তি ফুটে উঠেছে। জমিতে পলি মাটি পড়ার কারণে উর্বরা শক্তি বৃদ্ধির ফলে মৌসুমি আলুর চাষ ভালো হয়েছে বলে কৃষকরা জানান। সরেজমিনে দেখা যায়, চন্দনাইশ উপজেলার বরোমতি, গুল?্যাছড়ি, দোহাজারী, জামিরজুরী, চাগাচর, সাতবাড়িয়া, মো.খালী, নাছির কুল, জাফরাবাদ, চর বরমা, কেশুয়ার, বরুমতি খাল ও চাঁনখালী খালের দু-পাশে অধিকাংশ কৃষি জমিতে আলুর চাষাবাদ হয়েছে। চন্দনাইশ পৌরসভার হারলা এলাকার আলুচাষি মো. নবী হোসেন (৬৫) বলেন, গত বছরে চেয়ে এই বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর ফলন ভালো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, তিনি ৪০ শতক জমিতে দেশীয় আলুর চাষ করেছেন। এতে ৪০ শতক জমিতে ৬৫-৭০ মণ আলু উত্তোলন করেছেন। দামও বেশ ভালো পাচ্ছেন। প্রতি মণ আলু বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১২শ টাকা। দোহাজারীর কৃষক ফয়েজুর রহমান বলেন, স্বল্প শ্রম ও কম খরচে আলুর বাম্পার ফলন হচ্ছে। বর্তমানে অনেক কৃষকই এ চাষে ঝুঁকে পড়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত আলুর বাজার ভালো আছে। তাই কৃষকরা আলু থেকে ভালো লাভবান হবেন বলেও আশা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, জমিতে পলি মাটি পড়ার কারণে উর্বরা শক্তি বৃদ্ধির ফলে মৌসুমি আলুর চাষ ছাড়াও শীতকালীন সবজির ফলন ভালো হয়েছে। এই আলু এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা সম্ভব। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রাণী সরকার বলেন, 'স্থানীয় জাতের বীজের পাশাপাশি উন্নত জাতের বীজ লাগানোর জন?্য তারা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। তাতে আরও ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের মাঠ কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।'