মঠবাড়িয়ায় চাষিদের পেঁয়াজ উৎপাদনে আগ্রহ বাড়ছে

প্রকাশ | ০৩ মার্চ ২০২১, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, পিরোজপুর
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার চাষিদের মধ্যে পিঁয়াজ আবাদের আগ্রহ বেড়েছে। প্রশিক্ষণ পেলে উপজেলায় পিঁয়াজের বাম্পার ফলন সম্ভব বলে চাষিরা জানান। পিঁয়াজ চাষে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ২৫ চাষিকে ২৫ কেজি পিঁয়াজের বীজ দেওয়া হয়েছে। তবে প্রশিক্ষণের অভাবে চাষিরা বীজ দিয়ে সঠিকভাবে চাষ করতে পারেনি। তাই চাষিদের বীজ পিঁয়াজ কিনে আবাদ করতে হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কৃষি ক্যালেল্ডার অনুযায়ী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত পিঁয়াজ আবাদের সময়। এ সময়ের মধ্যে উপজেলায় ২ হেক্টর জমিতে পিঁয়াজ আবাদ হয়েছে। তবে আমন ধান কাটতে দেরি হওয়ায় অধিকাংশ চাষি ১৫ অক্টোবরের পরে পিঁয়াজ আবাদ করেছে। উভয় সময়ে উপজেলায় মোট ১৫ হেক্টর জমিতে পিঁয়াজ আবাদ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে ধানীসাফা, আমড়াগাছিয়া, টিকিকাটা ও মিরুখালী ইউনিয়নে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় দেড় হাজার মণ। উত্তর মিরুখালী গ্রামের চাষি আফজাল জমাদ্দার (৫৮) জানান, ট্রেনিং না থাকায় কৃষি অফিস থেকে দেওয়া বীজ দিয়ে সুবিধা করতে পারেননি। পরে বীজ পিঁয়াজ কিনে ১৫ শতাংশ জমিতে পিঁয়াজ আবাদে তার প্রায় আট হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। পিঁয়াজ বিক্রি করে আসল টাকার পর লাভের মুখ দেখবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, পিঁয়াজ চাষিদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য আমরা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে চাষিদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। চাষিদের মধ্যে পিঁয়াজ চাষে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে তিনি জানান। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শওকত হোসেন জানান, পিঁয়াজ আবাদের মৌসুম ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত। আমন ধান দেরিতে আসায় পিঁয়াজ আবাদে দেরি হয়। আমন ধান আবাদের সময় এগিয়ে এনে সময়মতো পিঁয়াজ আবাদ করলে বাম্পার ফলন সম্ভব বলে তিনি জানান।