বাকেরগঞ্জে পুড়ল ইউপি চেয়ারম্যানের বসতঘর

রংপুর ও ধর্মপাশায় ২৫ দোকান পুড়ে ছাই

প্রকাশ | ০৩ মার্চ ২০২১, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
রংপুর ও সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায়  মার্কেটে আগুন লেগে ২৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অন্যদিকে আগুনে পুড়ে গেছে বরিশালের বাকেরগঞ্জে কলসকাঠী ইউপি চেয়ারম্যান ফয়সাল ওয়াহিদ মুন্না তালুকদারের বসতঘর। রংপুর : রংপুরে একটি কাপড়ের মার্কেটের ১৫টি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে। মঙ্গলবার সকালের দিকে নগরীর নিউ জামাল মার্কেটে অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দোকান মালিক পক্ষের দাবি। রংপুর ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ওহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সকাল ৬টার দিকে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের চেষ্টায় এক ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। পুরো মার্কেট কাপড়ের দোকান হওয়ায় দ্রম্নত আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। শটসার্কিট নাকি অন্য উপায়ে থেকে আগুনের সূত্রপাত তা কেউ বলতে পারছেন না বলে জানান ওই কর্মকর্তা। ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ): সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় পাশাপাশি থাকা দুইটি মার্কেটের ১০টি দোকানঘর ও নগদ টাকাসহ মালামাল পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। এতে ওই দুটি মার্কেটে থাকা ব্যবসায়ীদের প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের বাদশাগঞ্জ বাজারে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত দেড়টার দিকে ইসহাক মিয়ার মার্কেটের বৈদু্যতিক শর্টসার্কিট থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। পরে তা মুহূর্তের মধ্যেই পাশের আবু তালেবের মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় আগুনে ওই দুটি মার্কেটে থাকা মো, লিটন  মিয়ার ফার্নিচারের দোকান, হেলিম মিয়ার  ফার্নিচারের দোকান, দুলাল মিয়ার ডেকোরেটরের দোকান, শরিফ টেলিকম, কানন মাস্টারের প্রাইভেট কোচিং সেন্টারসহ মোট ১০টি দোকানঘর ও ভেতরে থাকা সমস্ত মালামাল পুড়ে যায়। পরে খবর পেয়ে পাশের মোহনগঞ্জ থেকে দমকল বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় প্রায় ২০ মিনিট সময় চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুনে প্রায় ২০-২৫ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বরিশাল: বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফয়সাল ওয়াহিদ মুন্না তালুকদারের বসতঘর আগুনে পুড়ে গেছে। তবে এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সোমবার মধ্যরাতে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। কলসকাঠী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফয়সাল ওয়াহিদ মুন্না তালুকদার জানান, 'ঘটনার সময় আমার পরিবার বরিশালে এবং আমি ঢাকায় ছিলাম। ফলে আটকে রেখে আসা ওই ঘরে কেউ ছিল না এবং ঘরের বিদু্যতের মেইন লাইনের সুইচ বন্ধ করে রাখা ছিল। তিনি বলেন, আগুন লাগার পর নেভাতে গিয়ে বাড়ির পাশ থেকে কেরোসিনের গন্ধ পেয়েছে স্থানীয়রা। সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শত্রম্নতামূলক এ ঘরটিতে আগুন দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, শতবর্ষী সেগুন কাঠের ওই ঘরটিতে আমাদের অনেক স্মৃতি রয়েছে, যা আগুনের সঙ্গে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।'