শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পদক্ষেপ না নেওয়ায় ইবিতে বারবার চুরি

ইবি প্রতিনিধি
  ০৪ মার্চ ২০২১, ০০:০০

একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসে। শেখ রাসেল হলের সাবমারসিবল পাম্প, জিয়া হলের চার কক্ষে চুরি, রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনে দুই ভ্যান টাইলস্‌ এবং আট কাটুন ক্যাবল চুরিসহ সর্বশেষ সাদ্দাম হোসেন হলে একটি কক্ষের জিনিসপত্র, গোসলখানার শাওয়ারে রডসহ নির্মাণাধীন ভবনগুলোতে নিয়মিত চুরির ঘটনা ঘটেছে। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্তাব্যক্তি ও কর্মকর্তাদের দায়িত্বের অবহেলায় এ ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাহিদ নূর জানান, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় সাদ্দাম হোসেন হলে গিয়ে তার ২১৭ নম্বর কক্ষের তালা ভাঙা দেখতে পান। ভেতরে ঢুকে দেখেন কক্ষ থেকে দুটি রাইস কুকার, কিছু বই ও জামা-কাপড় চুরি হয়েছে। এ বিষয়ে সাদ্দাম হল প্রভোস্ট, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা ও বিভাগীয় সভাপতি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হলের উত্তর বস্নকের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলার গোসলখানার শাওয়ারের রডসহ অন্যান্য জিনিসপত্রও চুরি হয়েছে।

এর আগে গত ৪ ফেব্রম্নয়ারি রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের নির্মাণসামগ্রী চুরি করতে এসে হাতেনাতে ধরা পড়ে ১৫ বছর বয়সি এক কিশোর। জিজ্ঞাসাবাদে সে তার গ্যাংদের তথ্য দেয় ও সহযোগীদের নাম জানায়। দিনে ঘাস কাটা ও কাগজ কুড়ানোর নামে অনুসন্ধান করে রাতে চুরি এবং পরে শৈলকুপায় সাগরের ভাঙারির দোকানে এসব মালপত্র বিক্রি করত।

স্বীকারোক্তির পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিয়েই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়াও ওই গ্যাংয়ের কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রশাসনের অবহেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটছে।

এ বিষয়ে সাদ্দাম হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. আতিকুর রহমান বলেন, 'নিরাপত্তার লোকজনের; নাকি অফিসের লোকজনের অবহেলা সেটা দেখব এবং হলের সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে বিষয়টি আরও ভালোভাবে খোঁজ নেব। এ বিষয়ে আমি প্রক্টরকে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, 'সাদ্দাম হলের বিষয়ে আমার কাছে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। তবে আগের ঘটনাগুলোতে চোররা কেন ছাড় পেয়ে যাচ্ছে এবং কীভাবে তাদের ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে বিষয়ে শৈলকুপা থানার ওসির সঙ্গে কথা বলেছি।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে