ভাঙন আতঙ্কে যমুনার তীরবতীর্ মানুষ

প্রকাশ | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
‘সরকার শিক্ষাখাতে বিপ্লব ঘটিয়েছে’ ডুমুরিয়া (খুলনা) সংবাদদাতা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি বলেন, আলোকিত জাতি গড়ার লক্ষে বতর্মান সরকার শিক্ষাখাতে যুগন্তকারী বিপ্লব ঘটিয়েছে। গত ১০ বছরে শিক্ষা সেক্টরে চোখে পড়ার মত অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। ঝরে পড়া শিক্ষাথীের্দর সংখ্যা অনেক কমে গেছে। গ্রামে গ্রামে আধুনিক মানের স্কুল ভবন নিমার্ন হচ্ছে। শনিবার সকালে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা সদরে ৪ তলা বিশিষ্ট টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ নিমাের্ণর ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোছাঃ শাহনাজ বেগমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নিবার্হী প্রকৌশলী মোঃ রেজাউল ইসলাম।
সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে তীর সংরক্ষণ বঁাধে হঠাৎ ধস নেমেছে। যমুনার পানি কমতে থাকায় স্রোতে পশ্চিম জোতপাড়া অংশে বিলীন হয়েছে ৫০০ মিটার এলাকা। মুহ‚তের্র মধ্যেই বিলীন হয়ে যায় ৩০টি পরিবারের বসতঘর ও বাড়ি। এ ধসের বিস্তৃতি ঠেকাতে তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোডর্ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় তীরবতীর্ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পানি উন্নয়ন বোডর্ সূত্র এবং এলাকাবাসী জানায়, চৌহালী উপজেলা সদরের পৌনে ৪ কিলোমিটার এবং টাঙ্গাইলের সোয়া ৩ কিলোমিটার মিলে ৭ কিলোমিটার এলাকা যমুনার হাত থেকে রক্ষায় এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের অথার্য়নে ১২২ কোটি টাকার কাজ ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু করে তা গত বছর শেষ হয়। এতে রক্ষা পায় নদীর পূবর্ পাড়ের টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সরাতৈল থেকে দক্ষিণে নাগরপুর উপজেলার পুকুরিয়া, শাহজানীর খগেনের ঘাট, সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার ঘোরজানের চেকির মোড়, আজিমুদ্দি মোড়, খাসকাউলিয়া, জোতপাড়া পযর্ন্ত। তবে নদীর পানি কমতে থাকায় শুক্রবার রাতে হঠাৎ প্রচÐ স্রোতে বঁাধের পশ্চিম জোতপাড়া অংশে ভাঙন দেখা দেয়। যা শুক্রবার সকাল প্রায় ৫০০ মিটার ধসে যাওয়ায় বঁাধ থেকে বিচ্ছিন্ন হয় পাথরের বোল্ড ও জিও টেক্স। বিলীন হয় এর পাড়ের ৩০টি ঘরবাড়ি। অসহায় এসব মানুষের আতর্নাদে এলাকায় আতঙ্ক দেখা দেয়। ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত অনেকেই জানান, তারা ৩০টি পরিবার পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত। আশা নিয়ে বঁাধের পাড়ে বাড়ি করেছিলাম সব যমুনায় বিলীন হয়ে গেল। যা ছিল সব শেষ হয়ে গেছে। এদিকে ভাঙনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান স্থানীয় উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নিবার্হী কমর্কতার্ আনিসুর রহমান। তিনি অসহায় মানুষদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পাশে থাকার কথা জানিয়ে বলেন, তারা সব পরিবারকে আপাতত খাদ্যসামগ্রী দিচ্ছেন। পরে এদের পুনবার্সনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এ ছাড়া বঁাধের তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত টাঙ্গাইল পাউবো ভাঙনের বিস্তৃতি ঠেকাতে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। স্থানীয়রা আশংকা করছেন যদি ধস ঠেকাতে কোনো পদক্ষেপ না নেয়া হয় তাহলে বঁাধ আরও বিপযের্য় পড়বে। এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোডের্র নিবার্হী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমানের সঙ্গে ফোনে কথা হলে তিনি জানান, তারা বিষয়টি জানতে পেরেছেন। দ্রæত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।