বেলকুচি ও ডেমারের কৃষক স্বপ্ন দেখছেন সূর্যমুখী চাষে

প্রকাশ | ০৬ মার্চ ২০২১, ০০:০০

বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কৃষক রুবেল হোসেন। চলতি মৌসুমে তিনি এক বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে গাছে ফুল ধরতে শুরু করেছে। সরেজমিন দেখা যায়, রুবেল হোসেনের জমিতে এক একটি ফুল যেন হাসিমুখে সূর্যের আলো ছড়াচ্ছে। চারদিকে হলুদ ফুল আর সবুজ গাছের অপরূপ দৃশ্য। এ সৌন্দর্য দেখতে আশপাশের এলাকা থেকেও তার জমিতে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকে। পৌর এলাকার মুকুন্দগাতী গ্রামে রুবেল হোসেন (৩৫)। ব্যবসার পাশাপাশি তিনি কৃষিকাজ করেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে বীজ পেয়ে চলতি বছরে এক বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন তিনি। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, অল্প সময়ে কম পরিশ্রমে ফসল উৎপাদন ও ভালো দাম পাওয়া যায় বলে কৃষকরা এখন সূর্যমুখী চাষ করছেন। সূর্যমুখীর বিঘাপ্রতি ফলন ৮ থেকে ১০ মণ। একরের হিসেবে খরচ বাদ দিয়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা লাভ হবে। বেলকুচি উপজেলা কৃষি অফিসার কল্যাণ প্রসাদ পাল এই প্রতিবেদককে বলেন, বেলকুচিতে এই প্রথম সূর্যমুখীর চাষ শুরু করা হয়েছে। এই উপজেলায় ১ কেজি করে ৩০০ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ প্রদান করা হয়। চলতি এই মৌসুমে ৩০০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হচ্ছে। এদিকে ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি জানান, নীলফামারীর ডোমারে ক্ষতিকর ফসল তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করতে চাষিদের আশা জাগাচ্ছে সূর্যমূখী ফুলের চাষ। সূর্যমূখীর হাসিতে হাস্যোজ্জ্বল হয়ে উঠেছে কৃষকের মুখ। ইতোমধ্যে মাঠজুড়ে শোভা পাচ্ছে তেলজাতীয় ফসল সূর্যমূখী ফুলের ক্ষেত। সূর্যমূখী ফুল চাষে কম খরচে অল্প সময়ে বেশি লাভ করা সম্ভব। তাই গত বছরের চেয়ে এবারে ৪০গুণ বেশি জমিতে সূর্যমূখী ফুলের চাষ হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রতি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবারে ডোমার উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৪০ হেক্টর জমিতে সূর্যমূখী ফুলের চাষ হয়েছে। যা গতবারের তুলনায় ৪০গুণ বেশি। লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ হয়েছে। এ অঞ্চলের মাটি, আবহাওয়া ও জলবায়ু সূর্যমুখী চাষের অনুকূলে থাকায় কৃষকের কাছে এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সতেজ গাছ ও ভালো ফুল আসায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষিরা। ডোমার পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের চাষি মজিবর রহমান জানান, কৃষি বিভাগ থেকে বীজ পেয়ে এক বিঘা জমিতে সূর্যমুখী লাগিয়েছি। ক্ষেতে আনুষঙ্গিক খরচ খুবই কম এবং অল্প সময়ে ফসল ঘরে ওঠে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আনিছুজ্জামান জানান, বিষাক্ত ফসল তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করতে ২০২০-২১ অর্থবছরে কৃষি পুনর্বাসনের আওতায় ২শ জন কৃষককে বিনামূল্যে সরকারি বরাদ্দে ১ কেজি করে সূর্যমুখী ফুলের বীজ দেওয়া হয়েছে।