বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কোমর ভেঙে ১০ বছর বিছানায় থাকলেও জোটেনি সহায়তা

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
  ০৭ মার্চ ২০২১, ০০:০০

যুবক সুমন সংসারে অভাব ঘোচাতে ঢাকায় গিয়েছিল কাজ করতে। সেখানে কোমর ভেঙে ১০ বছর ধরে তীব্র যন্ত্রণায় ছটফট করছে সে। জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল পৌর শহরের বটতলী হাটখোলার পতিত বাড়িতে বছরের পর বছর অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে বিছানায় পড়ে থাকলেও এখনো তার কপালে জোটেনি সরকারি কোনো ভাতা। সুমন বটতলী হাটখোলার বাসিন্দা মজর উদ্দীন ও ফরিদা বেগমের ছেলে।

জানা গেছে, মা-বাবার ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর সংসারের হাল ধরতে ট্রাকের হেলপার হিসেবে ২০১১ সালে কাজ করতে যায় ঢাকার কাঁচপুরে। আর সেখানেই মালামাল লোড দেওয়ার সময় ৭-৮টি সিমেন্টের বস্তা তার ওপর পড়লে কোমর ভেঙে যায়। পরে মিল চাতালে কাজ করা স্বামী পরিত্যক্তা মা ফরিদা বিবি কিছুদিন সন্তানের চিকিৎসা করলেও অর্থাভাবে বেশিদূর এগোতে পারেননি। আর সেই থেকেই দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বিছানায় পড়ে আছে অভাগা সুমন।

সরেজমিন দেখা গেছে, একটি ছোট ঝুপড়ি ঘরে কাঠের চৌকিতে এক পাশ হয়ে হাতে তসবি ধরে শুয়ে আছে সুমন। কোমরের পাশে একটি ফ্যান ঘুরছে। দু'পায়ে পচন ধরেছে। সুমন জানায়, 'একদিন অভাব দূর করতে ট্রাকের হেলপার হিসেবে ঢাকায় গিয়েছিলাম। নিয়তির নির্মম পরিহাসে অভাব দূরত করতেই পারলাম না, উপরন্তু মায়ের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়ালাম। সুমনের মা ফরিদা বিবি জানালেন, সন্তানের একটি প্রতিবন্ধী কার্ডের জন্য স্থানীয় মেম্বার চেয়ারম্যান ও নেতাকর্মীর কাছে হাত পেতেছি। কিন্তু প্রতিশ্রম্নতি ছাড়া কেউ কিছুই দিতে পারেনি।' ক্ষেতলালের সমাজসেবা অফিসার মো. মিজানুর রহমান জানান, 'যুবক সুমনের বিষয়ে আপনার কাছ থেকেই প্রথম শুনলাম। ডাক্তার যদি তাকে প্রতিবন্ধী হিসেবে আইডেন্টিফাই করে তবে তাকে সুবর্ণ নাগরিক কার্ড প্রদান করব। তারপর ইউনিয়ন কমিটি তার নামে তালিকা আমার কাছে প্রেরণ করলে আমি তাকে ভাতা প্রদান করতে পারব।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে