জগন্নাথপুরে নলজুর নদী খনন নাকি খাল খনন

প্রকাশ | ০৯ মার্চ ২০২১, ০০:০০

জুয়েল আহমদ, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ)
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার নলজুর নদীটি খননের পর খালে পরিণত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে নদী খননের পুরোপুরি সুফল না পাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে উপজেলাবাসী। এলাকাবাসী জানায়, উপজেলা সদরের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নলজুর নদী এক সময় স্রোতস্বিনী ছিল। এ নদী দিয়ে লঞ্চ, স্টিমারসহ বড় বড় নৌযান চলাচল করত। দুই পাশ বেদখল করে নামে-বেনামে অসংখ্য স্থাপনা ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় নদীটি তার স্বাভাবিক গতি হারায়। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নদী খননের উদ্যোগ নেয়। পাউবোর জগন্নাথপুর উপজেলা কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলা সদরের বাদাউড়া থেকে এরালিয়া বাজার পর্যন্ত সাড়ে ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৫০ ফুট প্রস্থে নদী খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশন টেক লিমিটেড ঢাকা সাড়ে ৫ কোটি টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। গত ১৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া কাজ আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। এলাকাবাসীর অভিযোগ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খনন যন্ত্র দিয়ে মাটি কেটে নদীর একপাশে জমা রাখায় নদীটি খালে পরিণত হচ্ছে। বৃষ্টি হলে খননকৃত মাটি আবার নদীতে মিশে যাবে। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসির আরাফাত বলেন, নলজুর নদীতে ৪৯ জন দখলদার রয়েছে। গত বছর তাদের উচ্ছেদের জন্য মামলাও করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড নদীর পুরো অংশ খনন করলে সুফল মিলত। পাউবোর উপজেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসান গাজী বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদী খননের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রকৌশলীর ডিজাইন ও প্রাক্কলনের প্রেক্ষিতে নদী খনন কাজ হচ্ছে। তারা কাজ তদারকি করছেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী কামরুজ্জামান খান বলেন, তারা প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজ করছেন। নদীর দুই পাশে বাঁধের মতো হবে। নদীর অপর অংশে ৩৫ মিটার নিচে ১৫ মিটার খনন হবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান বলেন, নলজুর নদীর খননকৃত মাটি সরাতে তারা উদ্যোগ নিয়েছেন। খননকৃত মাটি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাজে লাগলে নিজ উদ্যোগে নিয়ে যেতে বলেছেন।