শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

হবিগঞ্জে বোরো আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেলেও হাওড়ে দুশ্চিন্তা

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
  ১১ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

হবিগঞ্জে বোরোর আবাদ এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এখন কাঁচি নিয়ে কৃষকদের ধান কাটতে যাওয়ার কথা হাওড়ে। আর কৃষানিদের ব্যস্ত থাকার কথা ধান শুকানোর কাজে। কিন্তু মাজরা পোকার আক্রমণে বদলে গেছে হাওড়ের দৃশ্যপট। পিঠে স্প্রে মেশিন নিয়ে ছুটতে হচ্ছে কৃষকদের। তার উপর গরম হাওয়ায় দেখা দিয়েছে ধান সাদা হয়ে যাওয়ার রোগ। আবার আগাম যে ধান কাটা হচ্ছে সেগুলোতে আছে অধিক পরিমাণ চিটা। এমন অবস্থায় দুশ্চিন্তাগ্রস্ত কৃষক-কৃষানিরা।

গত মঙ্গলবার বিকালে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার হাওড়ে দেখা গেছে, চারিদিকে সবুজের সমারোহ। লালচে রং ধরেছে অনেক জমিতে। কিছু স্থানে ধান কাটছেন কৃষকরা। ট্রাক্টর দিয়ে তা নিয়ে আসা হচ্ছে মাড়াই ও শুকানোর নির্দিষ্ট স্থানে। অন্যদিকে অনেকে ছুটছেন স্প্রে মেশিন নিয়ে জমিতে ওষুধ ছিটানোর জন্য। মাঠভর্তি ধান দেখে কৃষক-কৃষানির মুখে হাসি থাকার কথা থাকলেও তাদের চোখেমুখে এখন বিষাদের ছায়া। শেষ মুহূর্তে এসে ধান উৎপাদনে লোকসানের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

হবিগঞ্জ-আজমিরীগঞ্জ সড়কের পাশে বিশাল পতিত জমিতে ধান মাড়াই ও শুকানোতে ব্যস্ত ছিলেন অনেক কৃষক-কৃষানি। শিহাব নামে এক কৃষক বলেন, হাওড় থেকে পাকা ধান কেটে এনে মাড়াই দেওয়ার পর দেখা যায় অর্ধেকই চিটা। এই অবস্থায় ফসল উৎপাদনের খরচ ওঠাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

একই গ্রামের আব্দুর রহিম নামে আরেক কৃষক জানান, এবার বৃষ্টি কম হলেও পানির কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে পোকার আক্রমণ আর সাদা রোগের কারণে কৃষকদের এখন মাথায় হাত।

হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তমিজ উদ্দিন খান জানান, হাওড়ে মাজরা ও লেদাপোকার সমস্যা হলেও ওষুধ প্রয়োগ করে তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। চিটার বিষয়টি সঠিক নয় বলে তিনি জানান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে