তারাকান্দায় ৮ মাস ধরে বেতন বন্ধ একজন গ্রাম পুলিশের

প্রকাশ | ১৪ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

তারাকান্দা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় দীর্ঘ ৮ মাস ধরে বেতনভাতা পাচ্ছেন না দীনেশ রবিদাস নামে এক গ্রাম পুলিশ মহলস্নাদার (চৌকিদার)। এতে চরম আর্থিক সংকটে ৯ সদস্যের পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি। প্রতিকার চেয়ে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী দীনেশ রবিদাস। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, উপজেলার বহেড়াকান্দি গ্রামের যমুনা রবিদাসের ছেলে দীনেশ রবিদাস ৪নং গালাগাঁ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের গ্রামপুলিশ বা মহলস্নাদার হিসেবে ২০০৯ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তার আয়ের ওপর ৯ সদস্যের পরিবার নির্ভরশীল। তার বাবা যমুনা রবিদাস ১৯৯৯ সালে বহেড়াকান্দি মৌজায় ২৮ শতাংশ জমি একই এলাকার মৃত কিতাব আলী উকিলের দুই মেয়ে রহিমা খাতুন ও হালিমা খাতুনের কাছ থেকে সাবকাউলা দলিল মূলে কিনে সেখানে বসবাস করছেন। জমির দলিলে খতিয়ান ও দাগের ভুল এং ভূমির পরিমাণ কম-বেশি থাকায় যমুনা রবিদাস দলিল সংশোধনের জন্য ২০১০ সালের ১১ জানুয়ারি ফুলপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে জমি বিক্রেতাদের অপর এক বোন দিলারা বেগম ওরফে মিনারা খাতুন জমির মালিকানা দাবি করে তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জান্নাতুল ফেরদৌস বরাবর অভিযোগ দেন। দীনেশ রবিদাশের অভিযোগ, ইউএনও অভিযোগকারী দিলারা বেগমের পক্ষ নিয়ে তাকে ডেকে মামলা প্রত্যাহার ও জমির দখল ছেড়ে দিতে চাপ দেন। আদেশ না মানলে তাকে মামলায় হয়রানি এমনকি যেকোনো সময় মোবাইল কোর্ট বসিয়ে বড় ধরনের শাস্তি প্রদানের হুমকি দেওয়া হয়। আদেশ না মানায় ইউএনও ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। এ ছাড়া ওই বছরের আগস্ট থেকে ৮ মাস ধরে দীনেশ রবিদাসের বেতন, ২টি উৎসব ভাতা ও ৯ মাসের থানায় যাতায়াত ভাতা প্রদান বন্ধ রয়েছে। দীনেশ রবিদাস বলেন, এখন তিনি অর্থাভাবে পরিবার নিয়ে অর্ধাহারে, অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। তিনি বাধ্য হয়ে বেতন ভাতা পেতে জেলা প্রশাসক বরাবর দরখাস্ত দিয়েছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, 'একজন গ্রাম পুলিশের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনো আক্রোশ থাকতে পারে না। তার সঙ্গে আমার জমিসংক্রান্ত বা অন্য কোনো বিষয় নিয়েও কোনো সমস্যা নেই। সে ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করে না বলেই তার বেতন বন্ধ রয়েছে।'