আজমিরীগঞ্জে নদী ভাঙন আতঙ্কে হাজারো পরিবার

প্রকাশ | ২২ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

মো. আবু হেনা, আজমিরীগঞ্জ (হবিগঞ্জ)
কুশিয়ারা নদী ভাঙনের আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে দিনরাত পার করছেন হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার দুই ইউনিয়নের হাজারো পরিবার। প্রতিদিন ভাঙনের ফলে দরজার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে কালনী-কুশিয়ারা নদী। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুশিয়ারা নদীর ভাঙন বাড়ছে। কাকাইলছেও ও বদলপুর ইউনিয়নের ইতিমধ্যে একাধিক মসজিদসহ কয়েক শতাধিক বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের কবলে পড়ে বিপাকে পড়েছেন অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল মানুষগুলো। ভাঙনকবলিত অনেকেই আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে অথবা সরকারি খাস ভূমিতে জায়গা করে নিয়েছেন। বদলপুর হিলালপুর গ্রামের গোলাম মৌলা জানান, ১৯৯৬ সাল থেকে পিরিছপুর গ্রামটি নদী ভাঙনের কবলে পড়ে। ধলাই মিয়া নামে এক ব্যক্তির বসতভিটা প্রথমেই নদীগর্ভে যায়। তারপর একে একে ইয়াকুব মিয়া, আবু মিয়া, মতি মিয়া, জাহাঙ্গীর মিয়া, মনসুর খাঁ, উস্তার খাঁ, সাবুল মিয়া, সাজাহান মিয়া, আজমান মিয়া (সাবেক মেম্বার), আব্দুল হামিম, রহমত আলী, জাকির হোসেন, লাক মিয়াসহ আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনের বসতভিটা নদীগর্ভে যাচ্ছে। বর্তমানে দুই যুগ পার হলেও থেমে নেই ভাঙনের তান্ডব। গত ৫ বছরে কাকাইলছেও ইউনিয়নের কালনী-কুশিয়ারা নদীর তীর ঘেঁষা কালনী পাড়া, বদরপুর, মনিপুর, সৌলরী, জয়নগর, কাদিরপুর, কৈন্নাজুড়ি, শাহনগর, নরজাকান্দা গ্রামের হাজারো বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। কাকাইলছেও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোশারফ হোসেন বাবুল মিয়া বলেন, তার ওয়ার্ডের প্রায় ২শ' বসতভিটা বিলীন হয়ে গেছে। গ্রাম রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেছেন। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ নেওয়াজ তালুকদার বলেন, নদী ভাঙনের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। যেখানে ঘর-বাড়ি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা আছে এমন স্থানে ভাঙন হলে প্রতিহতের জন্য বরাদ্দের আবেদন করবেন।