শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জামালগঞ্জে হাজারো মানুষের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো

জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ২২ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার বেহেলী ইউনিয়নের একটি দূর্গম গ্রাম রাধানগর। চারপাশে বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে হাওড় বেষ্টিত গ্রামে যাতায়াতের কোনো ব্যবস্থা নেই। তাদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম বাঁশের সাঁকো। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর বিভিন্ন রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা গ্রামটির সার্বিক উন্নয়নে প্রতিশ্রম্নতি দিলেও দৃশ্যত কোনো উন্নয়ন হয়নি। শুষ্ক মৌসুমে স্থানীয়রা কোনো রকম স্বাচ্ছন্দ্যে থাকলেও বর্ষা এলেই দুর্ভোগের অন্ত থাকে না।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেহেলী বাজার থেকে নদী পার হয়ে বামদিকে গ্রামে ঢুকতেই চোখে পড়ে যাতায়াতের জন্য একমাত্র মাটির উপর বস্নক দিয়ে রাস্তাটি, তাও আবার বর্ষায় ডুবে যায়। অনেক জায়গায় বস্নক সরে গিয়ে রাস্তার বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। দুই কিলো রাস্তা পার হওয়ার পর দেখা যায় রাধানগর পূর্বপাড়া এবং পশ্চিম পাড়ার মাঝখানে মরা নদীর উপর একটি ঝুঁকিপূর্ণ দুই শত মিটারের বাঁশের সাঁকো। সারা বছর গ্রামের সিংহভাগ এলাকা থাকে পানিতে ডুবে থাকে। এই গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়তে প্রতিদিন দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে অনেকেই স্কুল-কলেজে যাতায়াত বন্ধ করে দেয়।

গ্রামবাসী জানায়, গ্রামের অভ্যন্তরে যাতায়াতের কোনো মাধ্যম না থাকায় হাঁটাই একমাত্র ভরসা। বাঁশের সাঁকোটি নিয়মিত মেরামত করা হলেও বর্ষায় অতিরিক্ত পানির চাপে নষ্ট হয়ে যায়। এখানে একটি ছোট ফোর্ড ব্রিজ করে দিলে গ্রামবাসীর যাতায়াতের সুবিধা হতো। এ ব্যাপারে বেহেলী ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার তালুকদার জানান, গত দুই বছর ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে বাঁশের সাঁকোটি করা হয়েছে। এ বছর গ্রামবাসী নিজস্ব অর্থায়নে সাঁকোটি মেরামত করেন। সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন কয়েকশ' লোক যাতায়াত করে থাকে।

উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আল আজাদ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এখানে একটি ফোড ব্রিজ করার জোড় দাবি জানান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে