শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উলিপুরে বোরো ক্ষেতে নেক-বস্নাস্ট রোগের আক্রমণ

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
  ২২ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

কুড়িগ্রামের উলিপুরে বোরো ধান ক্ষেতে নেক-বস্নাস্ট ছত্রাক রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকের বাম্পার ফলনের আশা দুরাশায় পরিণত হয়েছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোনো কাজ হচ্ছে না। বস্নাস্ট রোগ আক্রান্ত কয়েক শতবিঘা জমির ধান পড়ে আছে। কৃষকরা কাটছে না।

সর্বস্বান্ত কৃষকরা জানান, এক বিঘা জমির ধান কেটে এক মণও পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মারাত্মক বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

কৃষি অফিস জানায়, উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নে চলতি বোরো মৌসুমে ২২ হাজার ১৭৬ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী ৪.৪৫ হেক্টর ব্রি-২৮ জাতের ধান ক্ষেতে নেক-বস্নাস্ট ছত্রাকের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। শীষের গোড়া পচে ধান চিটা হয়ে যাচ্ছে। বৈরী আবহাওয়া ও বাতাসের মাধ্যমে ছত্রাকটি দ্রম্নত ছড়িয়ে পড়ছে। বস্নাস্ট প্রতিরোধে স্টেনজা, দিপা ট্রপার, সেলটিমা, ডায়মেনশন অথবা জিটাভো পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করাসহ জমিতে পানি ধরে রাখা, ধানের শীষ বের হওয়ার আগে ও পরে ২ বার এবং শীষ বের হলে বিকালে স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ক্ষের পর ক্ষেত জুড়ে বস্নাস্ট রোগাক্রান্ত ধান পড়ে রয়েছে। ধরনীবাড়ি ইউনিয়নের মধুপুর বামনের হাট গ্রামের মজিবর বহমান, রায়পাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল জব্বার জানান, রোগাক্রান্ত আড়াই একর জমির ধান কেটে ফসল পেয়েছেন মাত্র ৩ মণ। তার শুধু ধান কাটতে খরচ হয়েছে ২ হাজার টাকা। এ পরিস্থিতিতে কৃষি অফিসের কোনো লোক সহায়তা করেনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, রোগ প্রতিরোধে বিভিন্ন এলাকায় উঠান বৈঠকের মাধ্যমে লিফলেট বিতরণ ও ছত্রাকনাশক অনুমোদিত মাত্রায় ওষুধ স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে