সীতাকুন্ডে করোনাকে উপেক্ষা করেই ছুটছে ঘরমুখী মানুষ

= দুই দিনে আটক ৩০ যাত্রীবাহী বাস = ৪০ গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ | ১১ মে ২০২১, ০০:০০

সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম)
করোনাভাইরাসের কারণে চলমান লকডাউনকে উপেক্ষা করেই দিনে মাইক্রোবাস ও রাতে দূরপালস্নার যাত্রীবাহী বাসে করে ছুটছেন ঘরমুখী মানুষ। হাইওয়ে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে মহাসড়কে চলা এসব যানবাহনের চালকরা আসন সংখ্যার দ্বিগুণ যাত্রী ওঠানোর পাশাপাশি ভাড়াও আদায় করছেন কয়েকগুণ। এতে করোনা ঝুঁকিতে পড়ছেন ঘরমুখী এসব মানুষ। হাইওয়ে পুলিশের তথ্যমতে, শনি ও রোববার রাতে মহাসড়কের বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার চেকপোস্ট এলাকায় দূরপালস্নার ৩০টি যাত্রীবাহী বাস আটক করা হয়েছে। এ সময় আসন সংখ্যার দ্বিগুণ যাত্রী নেওয়াসহ বিভিন্ন কারণে ৪০টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। তবে হাইওয়ে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দূরপালস্নার বেশকিছু যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রো ঘুরিয়ে আবার চট্টগ্রামের দিকে চলে যায়।সোমবার সকালে মহাসড়কের বার আউলিয়া এলাকায় হাইওয়ে পুলিশের একটি চেকপোস্ট দেখা গেলেও নগরীর সিটি গেট থেকে বড় দারোগারহাট পর্যন্ত মহাসড়কের ৩৮ কিলোমিটারের মধ্যে আর কোনো চেকপোস্ট চোখে পড়েনি। বার আউলিয়া চেকপোস্টের সামনে মাইক্রোবাসে থাকা নোয়াখালীর কবিরহাট এলাকার যাত্রী শরীফ হোসেন বলেন, তিনি চট্টগ্রামের একটি এলপি গ্যাস পরিবহণকারী জাহাজে চাকরি করেন। বাড়িতে মায়ের অসুস্থতার খবরে মাইক্রোবাসে গাদাগাদি করেই বাড়ি যাচ্ছেন। মাইক্রোচালক সিটি গেট থেকে ডেকে ডেকে যাত্রী তুলেছেন। ৭০০ টাকা ভাড়া দিয়ে নোয়াখালীর কবিরহাট যাচ্ছেন তিনি। চালক চাহিদার দ্বিগুণ ভাড়া নিলেও অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই ফিরছেন তারা। বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে দু'দিনে দূরপালস্নার ৩০টি বাস আটক করা হয়েছে। এছাড়াও ৪০টি মাইক্রোবাস, মিনিবাস ও দূরপালস্নার বাসের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।