সোলার পাম্পে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে

প্রকাশ | ১২ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

পুঠিয়া (রাজশাহী) সংবাদদাতা
বরেন্দ্র এলাকায় খালে পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে সেচ সম্প্রসারণ কমর্সূচি প্রকল্পে রাজশাহীর চারঘাট, পুঠিয়ায় কৃষিতে বিপ্লব ঘটিয়েছে পরিবেশবান্ধব সোলার এলএলপি পাম্প। সোলার পাম্পের মাধ্যমে স্বল্প খরচে ২ উপজেলার জমিতে রোপা আমন চাষাবাদ করা হয়েছে। ডিজেলের চেয়ে খরচ কম হওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকরা এখন নিভর্র হয়ে পড়েছেন বিকল্প সেচ ব্যবস্থা সোলার পাম্পের ওপর। এ কাজে সহযোগিতা করছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কতৃর্পক্ষ। সোলার পাম্পের মাধ্যমে চাষাবাদ করে কৃষকের খরচ ও সময় দুটোই সাশ্রয় হচ্ছে। হয়রানি থেকেও রেহাই পাচ্ছেন কৃষক। জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অথর্ বছরে ২৮ লক্ষ টাকা ব্যায়ে এলএলপি স্থাপনকৃত খালের নাম নারোদ খাল (চারঘাট, মুক্তারপুর ঘাট হতে পুঠিয়া বারইপাড়া পযর্ন্ত)। খালের দৈঘর্্য ৩০ কিলোমিটার। মোট সোলার এলএলপি সংখ্যা ২০টি। প্রতিটি সোলারের ক্ষমতা ১৮ কিলোওয়াট, সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ শক্তি ৩৬০ কিলোওয়াট। সম্পূরক সেচ এলাকা ৪৮৫ হেক্টর। উপকৃত কৃষক পরিবার ২৮৫০ জন। এই এলাকায় নারদ নদীতে ১৭ টি এবং সন্ধ্যা নদীতে ৩টি মোট ২০ টি সোলার এলএলপি স্থাপন করা হয়েছে। জানা গেছে, আমন, বোরো ও রবি তিন ফসলেই সৌরশক্তি ব্যবহার করে ভ‚গভর্স্থ পানি ওঠানো যায়। তবে বোরো মৌসুমের দিকে তাদের মনোযোগ থাকে বেশি। কারণ ওই সময় জাতীয় গ্রিডে প্রচÐ চাপ থাকে। চাহিদা বেশি থাকায় ওই সময় বাসাবাড়িতে বিদ্যুৎ দিতেই হিমশিম খেতে হয় কতৃর্পক্ষকে। নয়াপাড়া গ্রামের কৃষকরা জানায়, সৌরশক্তি ব্যবহার করে সেচ দিলে প্রতি একর জমিতে সাশ্রয় হয় ছয় হাজার টাকা। পাশাপাশি সময়ও বেঁচে যায়। ডিজেলচালিত শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ দিলে প্রতি বিঘায় ঘন্টায় খরচ পড়ে ১২০ টাকা। এতে প্রায় ২ ঘন্টা সময় লাগে তাতে খরচ পড়ে ২৪০ টাকা। আর সৌরশক্তিতে প্রতি ঘন্টায় খরচ পড়ে ১৬০ টাকা। অথচ আধা ঘন্টায় এক বিঘা জমিতে সেচ দেওয়া হয়ে যায়। বরেন্দ্র উন্নয়ন কতৃর্পক্ষের সহকারী প্রকৌশলী মো. সেলিম রেজা জানান, বরেন্দ্র অঞ্চলে যেহেতু বোরো ফসল বেশি হয়, সেখানে সোলার পাম্প বেশি বসানো হচ্ছে। শুধু সূযের্র আলো ব্যবহার করে সোলার পাম্প পরিচালনা করছেন। এ প্রযুক্তি দিয়ে দিনে টানা ৭/৮ ঘণ্টা পানি ওঠানো সম্ভব। সোলার পাম্প পরিবেশবান্ধব।