বরেন্দ্র অঞ্চলে হুমকির মুখে আমন চাষ

প্রকাশ | ১২ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

তানোর (রাজশাহী) সংবাদদাতা
এবার খরার কবলে পড়েছে রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলের বৃষ্টিনিভর্র আমন আবাদ। বৃষ্টি না হওয়ায় বৃষ্টিনিভর্র আমন আবাদ শেষ সময়ে এসে হুমকির মুখে পড়েছে। গত এক মাসের বেশি সময় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আমনের ক্ষেত ফেটে চৌচির হওয়ার পর ক্ষেতের সবুজ পাতাগুলো পুড়ে পুড়ে খড় হয়ে যাচ্ছে। ফলে ক্ষেতের ধান বঁাচানো এখন দায় হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের কৃষকের। এ অবস্থায় কেউ কেউ পুকুর, ডোবানালার পানি সেচ দিয়ে কোনো রকমে ধান বঁাচানোর চেষ্টা করছেন। তাতে কৃষকদের অতিরিক্ত অথর্ ব্যয় করতে হচ্ছে। তবে রোদের তীব্রতায় মুহূতের্ই মাঠ শুকিয়ে খাক হয়ে যাচ্ছে। কৃষকরা বলছেন, সহসা বৃষ্টিপাত না হলে এ অঞ্চলের আমন আবাদ এবার চরম হুমকির মুখে পড়বে। অনেক কষ্টাজির্ত ফসল ক্ষেতেই বিনষ্ট হয়ে যাবে। এ অবস্থায় ক্ষেতের ধান বঁাচাতে বৃষ্টির পানির জন্য তিন দিনব্যাপী এস্তেস্কার নামাজ ও দোয়া করেছেন রাজশাহীর তানোর উপজেলার কৃষকরা। তানোরের গোরাঙ্গপুর গ্রামের কৃষক মাহতাব উদ্দিন জানান, চলতি বছর অতিরিক্ত খরার কবলে বরেন্দ্র অঞ্চলে আমন ধান পুড়ে যাচ্ছে। ক্ষেতে এখন বৃষ্টির প্রয়োজন। তার কয়েক বিঘা জমিতে সেচ সুবিধা না থাকায় ক্ষেতের সবুজ ধান পুড়ে খড় হয়ে গেছে। তাতে করে তার প্রায় ২০ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হবে। রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী, নওগঁা, নাটোর ও চঁাপাইনবাবগঞ্জ জেলায় আমন চাষাবাদ হচ্ছে ৩ লাখ ৫০ হাজার হেক্টরের বেশি। শুধু রাজশাহী জেলায় এবার আমন ধান চাষ হচ্ছে ৭৩ হাজার ৩৮৭ হেক্টরের জমিতে। এখন ধানের থোড় হওয়ার সময়। জমিতে সেচের প্রয়োজন। তবে বরেন্দ্র অঞ্চলের উঁচু খরার কারণে মাটি ফেটে যাচ্ছে। অনেকে সেচ দিয়ে ধান বঁাচানোর চেষ্টা করছেন। তবে যেসব এলাকায় গভীর নলক‚প নেই সে এলাকার কৃষকরা শঙ্কার পড়েছেন। তানোর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কমর্কতার্ শমসের আলী জানান, বরেন্দ্র অঞ্চলে আমন চাষাবাদটি মূলত বষার্র পানির ওপর নিভর্রশীল। এক মাস ধরে বরেন্দ্র অঞ্চলে বৃষ্টির পানির দেখা নেই। কৃষকেরা খাল-বিল, ডোবা-নালা ও গভীর নলকূপের সেচ দিয়ে আমন ক্ষেত বঁাচানোর চেষ্টা করছে। তবুও দুই- একদিনে মধ্যে বৃষ্টি হলে কিছুটা হলেও ধান বঁাচানো সম্ভব হবে।